মুহিতুল ইসলাম মুন্নাঃ
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্যে হবিগঞ্জ জেলা, বানিয়াচং উপজেলার ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়ন; কুমড়ি-দুর্গাপুর-নজরপুর এলাকায় বিদ্যুৎ উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব এড. আব্দুল মজিদ খান এমপি, বানিয়াচং উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আবুল কাশেম চৌধুরী, কুমড়ি এলাকার বানিয়াচং উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ফারুক আমিন তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দগণ।
বানিয়াচং উপজেলার ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি, নজরপুর, দুর্গাপুর এলাকার কৃষি নির্ভরশীল এই বিশাল জনগোষ্ঠী জন্মের পর ঘরে বিদ্যুতের আলো পাননি। তবে এলাকা জুড়ে রয়েছিলো বৈদ্যুতিক খুঁটি। সেই খুঁটি দেখে বিদ্যুৎ পাওয়ার আশায় রয়েছিলেন তারা।
অবশেষে অন্ধকারের অবসান ঘটলো, ১১০০ বুলটের বিদ্যুৎ সর্বাহ হলো বানিয়াচং উপজেলার ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি, নজরপুর , দুর্গাপুর গ্রামে।
বিদ্যুৎ পেয়ে গ্রামের মানুষের আনন্দের সিমা নেই।
হবিগঞ্জ জেলা, বানিয়াচং থানার পৈলারকান্দি ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, তারা এতো দিন অন্ধকারে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার আলোর কারিগর পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে সংযোগ পাবার পর অন্ধকার থেকে আলোর পথে এসেছে। তারা এতোদিন কেউ সৌরবিদ্যুত, হারিকেন ও মোমবাতি আলোতে কাজ করেছেন। রাতে ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করেছে অনেক কষ্টে। এতোদিন ঠান্ডা পানিতে তৃষ্ণা মেটাতে পারেনি জয়নাল আবেদীন । এখন সে রেফ্রিজেটার কিনবে বলে জানান। গরম সহ্য করতে পারবেনা। বিদ্যুতের এ সমস্য সমাধান হওয়ার তারা প্রধানমন্ত্রী, এমপিকে ধন্যবাদ জানাতে কার্পণ্য করেননি।
বানিয়াচং থানার ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের মোল্লাবাড়ির মহিউদ্দিন, বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। বিদ্যুৎ পাওয়ার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে বাকরুদ্ধ প্রায়। বিদ্যুৎ সংযোগ হবে শুনে কয়েকদিন যাবৎ রাতে তার চোখে ঘুম আসেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। সকাল থেকে বিকাল অব্দি অপেক্ষার পর তার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালোন ‘আলোর কারিগর,। আগেথেকে ওয়্যারিং প্রস্তুত ছিল । সংযোগকারী এলেন ৫ -১০ মিনিটে সংযোগ দিলেন। এরপর সুইচে টিপ দিতেই আলোই ঝলমল করে উঠলো ঘর। এ যেন রুপকথার গল্প। বিদ্যুতের সংযোগের জন্য ১০০ টাকা আবেদন ফি, ৪০০ টাকা সিকিউরিটি ফি এবং ৫০ টাকা সদস্য হওয়ার ফি। আর কোন টাকা নয়। মহিউদ্দিন বলেন, আগে মনে করেছিলাম বিদ্যুৎ আবার কি ? আলোর কাছ থেকে দূরে থেকেও তারা এতোদিন অন্ধকারে থেকেছেন। তা ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তারা এতো দৌড়-ঝাপ করেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আজ অন্ধকারের অবসান ঘটেছে।
সংযোগ প্রদানকারি ওয়্যারিং পরিদর্শক জানালেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ দিতে পেরে ,মানুষে সেবা করতে পেরে খুব খুশি। মানব সেবা করা মত কাজ আর হয়না। যে যার অবস্থান খেকে মানুষের সেবা করলে দেশ অনেকে আগেই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে যেত।
তিনি বলেন বিনা হয়রানীতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে মানুষের যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বিদ্যুৎ খুটির গোড়ায় পৌঁছলে শিশু, নারী-পুরুষের বাধ ভাঙ্গ উচ্ছাস। তিনি এমনও দেখেছেন সংযোগ দেয়ার আগের দিন তারা টেলিভিশন কিনে ফেলেছে। অনেকে ফ্রিজও কিনেছে।
পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি নজরপুর,দুর্গাপুরের মানুষ এই বিদ্যুৎ পেয়ে আজ খুবই আনন্দিত,
ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে।