এম সিজিলঃ আজ ২৭ই সেপ্টেম্বর, রোজ রবিবার; বিশ্ব নদী দিবস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার পালিত হয় এই দিবসটি। নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এ দিবসটি পালন করা লক্ষ্য উদ্দেশ্য। সুস্থ জীবনের জন্য দূষণ মুক্ত নদী ব্যতীত বিকল্প নেই।
১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। এরপর ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা দিবসটি পালন করছে। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে থেকে রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা এ দিবস পালন করে আসছে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ দিবসটি অনুসমর্থন করে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে ছড়িয়ে আছে কত শত শত নদী৷ শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদীর মধ্যে অনেকগুলো আকার এবং গুরুত্বে বিশাল। এসব নদীকে বড় নদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।বৃহৎ নদী হিসেবে কয়েকটিকে উল্লেখ করা যায় এমন নদীসমূহ হচ্ছে: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি, শীতলক্ষ্যা, গোমতী ইত্যাদি।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় ও রয়েছে বেশ কয়েকটি নদী। এই সব নদীগুলো প্রাচীন।
হবিগঞ্জে উল্লেখযোগ্য নদীসমূহ হলো;- কুশিয়ারা, খোয়াই, সুতাং, রত্না, শুটকী, সোনাই, করাঙ্গী, ঝিংড়ী, ভেড়ামোহনা, বরাক, বিজনা প্রভৃতি।
হবিগঞ্জের প্রধান নদী হলো খোয়াই। আর হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর তীরেই অবস্থিত।
খোয়াই একটি সীমান্ত নদী। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আঠারোমুড়া পাহাড়িয়া অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা নামক সীমান্ত পয়েন্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অতঃপর চুনারুঘাট হতে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর হতে বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে লাখাই উপজেলার কালনী নদীতে পতিত হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর হতে পশ্চিমদিকে কিছুটা এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়ে কালনীতে পড়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৪ কি:মি। নদীটি শায়েস্তাগঞ্জের কাছে ৭০ মিটার প্রশস্ত। পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ৬ মিটার। আর অববাহিকার আয়তন ৪৩৫ বর্গ কি:মি।
লেখকঃ বার্তা সম্পাদক, হবিগঞ্জ নিউজ।