হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পাড়ে কদর আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কদর আলী পৌর এলাকার জঙ্গলবহুলা গ্রামের মঙল মিয়ার ছেলে। তিনি টাক্টরে শ্রমিকের কাজ করতেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, কদর মিয়া খোয়াই নদী থেকে বালু তুলার ট্রাক্টরের শ্রমিকের কাজ করতেন। গতকাল শক্রুবার সকালে বাড়িতে থেকে আর ফিরে আসেননি।
আজ শনিবার (২জুলাই) সকালে তার মাথাবিহীন লাশটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলীসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও কদর মিয়ার পরিবারের লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। এবং শীঘ্রই অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার আশ্বাস প্রদান করেন। এবং পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও কাজ করে যাচ্ছে অপরাধীদের গ্রেফতারে।
সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ও নিহতের পরিবারের লোকজন এটা কদর মিয়া লাশ বলে নিশ্চিত করেন।
এমন মর্মান্তিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, আমাদেরকে শনিবার সকালে স্থানীয়রা খোয়াই নদীর মাছুলিয়া এলাকায় একটি মাথাবিহীন লাশ নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। তবে মাথা উদ্ধার করা হয়নি। মাথা উদ্ধার ও খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেজ ও কদর মিয়ার পরিবারের লোকজন এটি কদর মিয়ার লাশ বলেও বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে এই এঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকাসহ পুরো শহরে এক আতংক ও চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যা করে মাথা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।