সাম্প্রতিক সময়ে হবিগঞ্জে পুরাতন খোয়াই নদী পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চলা উচ্ছেদ তৎপরতা পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র একটি প্রতিনিধিদল। বাপা’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাপা হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ, সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মোমিন, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, বাপা হবিগঞ্জের সদস্য এডঃ বিজন বিহারী দাস, আসমা খানম হ্যাপি, এডঃ শায়লা পারভীন, বিশিষ্ট দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আবিদুর রহমান রাকিব, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিনিধি দল তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছেদ অভিযান আরো বেগবান করার ব্যাপারে সকল মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করে প্রতিনিধি দলের পক্ষে শরীফ জামিল বলেন, হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও খোয়াই পুনরুদ্ধারে দীর্ঘদিনের নাগরিক আন্দোলন থাকলেও ইতিপূর্বে পুনরুদ্ধারের এমন জোরালো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান জেলা প্রশাসনকে বাপা’র পক্ষ থেকে উচ্ছেদ তৎপরতা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে এই উচ্ছেদ তৎপরতা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন বাঞ্চনীয়। তাই মাছুলিয়া থেকে গরুর বাজার পর্যন্ত সম্পূর্ণ পুরাতন খোয়াই নদীর সীমানা চিহ্নিত করে নদী অভ্যন্তরে থাকা সকল স্থাপনা নির্মোহ ও ব্যতিক্রমহীনভাবে উচ্ছেদ করে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। একি সাথে নদী সংরক্ষণে গৃহিত প্রকল্পে পরিবেশবান্ধব নকশা প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদল সদস্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে প্রতিনিধিদল পুরাতন খোয়াই উচ্ছেদ অভিযান দৃঢ়তার সাথে পরিচালনা করায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান, একি সাথে ভবিষ্যতে খোয়াই নদী পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সকল পর্যায়ে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:৩৯