হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত ছাত্র অনুজ দাস(১৭)বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চন্ডিপুর গ্রামের রাখাল দাসের পুত্র।
সে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র।
রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর)দিবাগত রাত(২৫সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পুলিশ অনুজের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
এদিকে নিহত অনুজের মা প্রগতী রানী দাসের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানান, তার সন্তান দিনের বেলা কলেজ থেকে পরিক্ষা দিয়ে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বন্ধুর বাড়ি থেকে একটি বই আনার কথা বলে বের হয়ে রাত পৌঁনে ৯টার দিকে মা বলে চিৎকার দিয়ে বাড়ির উঠানে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এসময় মা প্রগতী রানী দাস ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে ছেলের কাছে যাওয়া মাত্র মুখ থেকে বিষের গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগীতা নিয়ে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনুজ দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে এই বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হলে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেলোয়ার হোসাইন এর নেতৃত্বে এসআই স্বপন সরকারসহ একদল পুলিশ গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু কুমার দাস এর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছেলেটা খুবই ভালো ও মেধাবী ছাত্র ছিলো।
তবে তার পিতা একটু মদ্যপান করতো যে কারনে প্রায়ই পরিবারে ঝগড়া হতো পরিবারে।
এ কারণে ছেলে অনুজ তার বাবাকে প্রায়ই বুঝাতো এসব না করার জন্য।
কিন্তু ছেলেটা কি কারণে এমনটা করলো একমাত্র সে ভালো জানে।
তবে তার সাথে আলাপকালে এটাও জানান তিনি,নিহত অনুজের লাশটি এখনো গ্রামে গিয়ে পৌঁছায়নি তবে রাস্তায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ মিয়া অনুজের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায় নাই।
তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অনুজ আত্মহত্যা ঐ করে থাকতে পারে।
কিন্তু তদন্ত সাপেক্ষে কোন ক্লো পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।