গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় সুন্নী জামে মসজিদ প্রাঙ্গন হইতে মসজিদ সমন্বয় সুন্নী সংগ্রাম পরিষদের আহবানে ভারতের দিল্লীতে মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি চৌধুরী বাজার মোড়ে প্রবেশ করলে শহরের বিভিন্ন মসজিদ হতে খন্ড খন্ড মিছিল সংযুক্ত হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঐতিহ্যবাহী কোর্ট মসজিদের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ রইছ মিয়া অসুস্থতার কারণে গাড়ীতে বসে মিছিলটির নেতৃত্ব দেন। হাফেজ মাওঃ রেজাউল করিম ও মাওঃ কে.এম ওয়াহাব নাঈমীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, সেক্রেটারী কাজী মাওঃ এম.এ জলিল, শাহী ঈদগাহের খতিব মাওঃ গোলাম মোস্তফা নবীনগরী, চৌধুরীবাজার কেন্দ্রীয় সুন্নী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওঃ আব্দুল মজিদ পিরিজপুরী, মুফতি মুজিবুর রহমান, মুফতি আবুল বাশার হানাফী, হাফেজ মাওঃ আব্দুস সহিদ, মোফাচ্ছির রায়হান মুফতি প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, যে ভারতবর্ষ মুসলমান সম্রাটগণ শত শত বৎসর রাজত্ব পরিচালনা করেছেন কোনদিন মুসলমান সম্রাটগণ কোন হিন্দু হত্যা বা নির্যাতন করেন নাই। যদি সেদিন মুসলিম সম্রাটগণ হিন্দুদের ভারতবর্ষ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা করতেন, তাহলে ভারতে আজ একটা হিন্দু খোঁজে পাওয়া যেত না। সেই ভারতের দিল্লীতে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার আজ মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে।
মুসলমানদের মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। অবিলম্বে সেই নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য এবং হত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানানো হয়।
মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হাত নিয়ে নরেন্দ্র মোদি যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সেই জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও সমাবেশ থেকে দাবী জানানো হয়। অবিলম্বে যদি ভারতের মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করা না হয় তাহলে বাংলার মুসলমানগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় মুসলমানদের রার জন্য চুড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিবে। পরিশেষে সারা বিশ্বের মুসলমানদের রার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আহমদ।