শ্রমিকের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা:) এর ডাকে সর্ব প্রথম শ্রমিকরাই সাড়া দিয়েছেন। মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের সূচনা হবার পর হযরত বেলাল, হযরত খুবায়েব, হযরত খাব্বাব, হযরত আম্মারের মত শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলাম সমাজের সর্বস্তরে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তাই, এ দেশে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়ন অনিবার্য। কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জনাব মাওলানা সুহেল আহমদ।
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা আল্লাহর বন্ধু যে ব্যক্তি শ্রমিককে কষ্ট দেয়, সে যেন স্বয়ং আল্লাহকেই কষ্ট দেয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত জুলাই-আগষ্ট মাসে যে বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে, যার মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সেই বিপ্লবে শ্রমিকদের অবদান ছিল সীমাহীন। অসংখ্য শ্রমিক শাহাদাত বরন করেছেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শ্রমিকদের রক্তের উপরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশ। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি কাজী আব্দুর রউফ বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোজাম্মেল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগরী সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমেদ রাজু, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী কাজী মহসিন আহমদ, সিলেট জেলা দক্ষিণ সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান, সিলেট জেলা দক্ষিণ ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মীর জমিলুন্নবী ফয়সাল, মোঃ খলিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, হবিগঞ্জ পৌর সভাপতি হাবীবুর রহমান খান, বানিয়াচং উপজেলা সভাপতি সৈয়দ আনহার নবী, মাধবপুর উপজেলা সভাপতি নায়েব উল্লাহ, বাহুবল উপজেলা সভাপতি হোসাইন আহমদ শামীম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আব্দুল বাছির, নবীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাহার, পৌর সভাপতি ইকবাল হোসাইন খান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি এনামুল হক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হাই, লাখাই উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রেজা। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, নাজমুল ইসলাম, ডা. শামিম, জহিরুল, নাঈম, মাহমুদ, জুবায়ের প্রমূখ।