হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো’র বিরুদ্ধে সরকারী ত্রান আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী বরাদ্ধকৃত ত্রান আত্মসাতের এই লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের বরাবরে দিয়েছেন দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আখলাছ আহমেদ প্রিয়। সোমবার দুপুরে তিনি এ অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, “করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জ জেলায় অনেক অসহায় দরিদ্র পরিবার ও কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে তৃণমুল জনগণের খাদ্যাভাব পুরণের লক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায় দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে সরকার ত্রান বিরতণ করে আসছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে সমবন্ঠন মোতাবেক লস্করপুর ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ দফায় সর্বমোট ৭ টন ২শ ৫০ (সাত টন দুইশত পঞাশ কেজি) চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্ত ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো গত ৩১/০৩/২০২০ থেকে ১৭/০৪/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত ৪র্থ দফায় মোট ৫ টন ২শ ৫০ কেজি চাল বিতরণ করেছেন । অবশিষ্ট ২(দুই)টন সরকারী ত্রান তিনি আত্মসাত করেছেন।”
“শুধু তাই নয়, বরাদ্ধকৃত চাল বিতরণে জনপ্রতি ১০ কেজির পরিবর্তে ৭/৮ কেজি করে বিতরণ করেছেন। যার ফলে অত্র ইউনিয়নের অনেক অসহায় দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবার সরকারী ত্রান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি উল্লেখিত ৫ টন ২৫০ কেজি ত্রান থেকেও তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠণে ব্যক্তিগত ভাবে ৪/৮ বস্তা করে অনুদান প্রদান করেছেন।”
বিষয়টি নিয়ে অত্র ইউনিয়নের সর্বমহলের মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি সুষ্টু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আখলাছ আহমেদ প্রিয় বলেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। হবিগঞ্জ-লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির অসহায় দরিদ্রদের কাছে ত্রান তুলে দিতে প্রানপণ চেষ্টা করে আসছেন। প্রতিদিন তিনি মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন এই ত্রান গুলো আত্মসাত করে আসছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।”
“এরই মধ্যে লস্করপুর ইউনিয়নে যে পরিমাণে সরকারী ত্রান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান ওই ত্রানের একটি বিরাট অংশ আত্মসাত করেছেন। আশা করি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি জনগনের কাছে উন্মোচিত হবে।” বলে জানান সাংবাদিক আখলাছ।
হবিগঞ্জ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটির দিনব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মকান্ড
সোমবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি হবিগঞ্জ জেলা’র উদ্যোগে সদস্য সচিব ফরহাদ আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরের ৩নং পুল, ২নং পুল তেঘরিয়া, শায়েস্তানগর তেমুনিয়া, শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট, নজির মার্কেট, চিড়িয়াখানা রোড, সার্কিট হাউজ রোড ও দক্ষিন অনন্তপুরের আংশিক এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারনা ও জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।
৩নং পুল এলাকায় সাবেক কমিশনার ইউনুস মিয়া, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা আইয়ৃব আলী, ব্যবসায়ী কিবরিয়া মহলদার একাত্মতা প্রকাশ করে সচেতন নাগরিক কমিটির টিমের চলমান কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন ।
হবিগঞ্জ শহরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটির জীবাণুনাশক স্প্রে এবং সচেতনামূলক মাইকিং
দিনব্যাপী কর্মকান্ডে সংগঠনের পক্ষে অংশ নেন- জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অপু চৌধুরী, জেলা কমিটির সদস্য মীর দুলাল, এডভোকেট সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহমেদ, আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, মিনহাদ আহমেদ চৌধুরী, শাহজালাল আহমেদ প্রমূখ।