জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

অদৃশ্য কারণে লাখাইয়ে অচল এক ও দুই টাকার কয়েন

হারিয়ে যেতে বসেছে লাখাইয়ে সচল ধাতব মুদ্রা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশি মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়।

সরকারি মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা, পরবর্তীতে টাকাকে প্রকাশের চিহ্ন বা সংকেত হিসাবে “৳” কে নির্ধারণ করা হয়। টাকার সর্বনিম্ন একক নির্ধারণ করা হয় এক টাকা। আর এক টাকার শতাংশকে পয়সা নামে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ ৳১ সমান ১০০ পয়সা।৭৫ সালে ১ টাকা ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয় এবং ২০০৪ সালে ‘‘স্টিল’’ এর তৈরী ২ টাকার মুদ্রা ইস্যু হয়।

গত আট থেকে দশ বছর ধরে অজানা বা অদৃশ্য কারণেই লাখাই উপজেলা সহ হবিগঞ্জ জেলায় অচল হয়ে পড়ে রয়েছে এক ও দুই টাকার কয়েন। ভিক্ষুকরাও নিতে চাচ্ছে না কয়েন। ছোট-বড় ব্যবসায়ী, হাট বাজার কোথাও চলে না এই কয়েন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জনসচেতনতার অভাব, তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিলে লাখাই উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলায় আবারও সচল হবে এক ও দুই টাকার কয়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাইয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে, সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে খুচরা টাকা ক্রেতা অথবা বিক্রেতা উভয়ই ছাড় দিয়ে চলছেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকিট করতে গেলে তারা এই পয়সা গ্রহণ করে না। এমনকি ভিক্ষুকরাও নিতে চায় না। তাছাড়া বড় ব্যবসায়ীরা এসব টাকা গ্রহণ করতে চায় না।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনও ব্যাংক নিতে চায় না। ফলে অচল হয়ে পড়ে থাকে তাদের কয়েনগুলো। ব্যাংকে গিয়েও পড়তে হয় নানান ঝামেলায়।এ কারণে একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে লাখাই উপজেলাসহ হবিগঞ্জে এই কয়েনের আদান-প্রদান।

ভুক্তভোগী জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানগুলোতে বিক্রেতারা ১ ও ২ টাকার কয়েন নিচ্ছেন না। এতে ৪, ৯, ১৪, ২৯,৪৯,৩৪,৯৯টাকার মতো খুচরা কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা। হয়তো দোকানিকে বেশি দিতে হচ্ছে নয়তো বাকি রাখতে হচ্ছে। অন্যথায় টাকার পরিবর্তে লজেন্স ও সমপরিমাণ টাকার পণ্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।

১ পয়সা, ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সার ধাতব মুদ্রা এখনকার প্রজম্মের কাছে যেমন অচেনা। আর ১শ পয়সা ১ টাকা, ২শ পয়সা ২ টাকা এই কয়েন গুলোও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হয়ে যাবে অচেনা।১ টাকা ২ টাকা কয়েনটি সচল করতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যাংকগুলো।

 

এ ব্যাপারে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এক টাকা এবং ২ টাকা কয়েন গুলো নিয়ে আমরা বিপক্ষে পড়েছি বিশেষ করে ভাঙতেি দিতে আমাদের সমস্যা হয় এসব কয়েন দিলে ক্রেতা সাধারণ নিতে চায়না।

এমনকি ভিক্ষুকদের দিলেও তারা নিতে চায় না।