পৌষের কনকনে ঠান্ডা বাতাস। চারদিকে ঘন কুয়াশা। এমন বৈরী পরিবেশের মধ্যে সড়ক-মহাসড়কে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। সবার গন্তব্য টঙ্গীর তুরাগতীর। উদ্দেশ্য বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া। মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা। দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি-সমৃদ্ধি–মঙ্গল কামনা করা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তুরাগতীর ও তার আশপাশের অলিগলি-সড়ক-মহাসড়কে তখনো মুসল্লিরা হাঁটছেন। কেউ কেউ খুঁজছিলেন বসার জায়গা। এর মাঝে মাইকে ঘোষণা এল আখেরি মোনাজাতের। সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা যে যেখানে ছিলেন, বসে পড়েন।
বেলা ১১টা ৮ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। কেউ সড়কে, কেউ বাড়ির ছাদে, কেউবা নৌকায় বসে মোনাজাতে অংশ নেন।
শুরুতে মোনাজাত হয় আরবিতে। মোনাজাতের সময় লাখো মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
১৮ মিনিট পর বাংলায় মোনাজাত শুরু হয়। মাইকে ভেসে আসে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জিন্দিগির গুনাহখাতা মাফ করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মাফ করে দিন, হে আল্লাহ আপনি আমদের মাফ করে দিন।’
মুসল্লিরা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনি করেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্বে অংশ নেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। এ পর্বের মোনাজাত তিনিই পরিচালনা করেন। বেলা ১১টা ৮ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত চলে টানা ৩৮ মিনিট।
মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি এ উম্মতকে রক্ষা করুন। আমাদের ইমানকে শক্ত করুন। কোটি কোটি টাকা যেন আমাদের ইমানকে কেড়ে নিতে না পারে, আমাদের ইমানকে যেন নষ্ট করতে না পারে, আপনি আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুণ।’ এ ছাড়া দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন তিনি।
প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আজকের কার্যক্রম শুরু হয় পাকিস্তানি মাওলানা জিয়াউল হকের হেদায়েতি বয়ানের মাধ্যমে। সকাল ১০টায় বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এরপর আখেরি মোনাজাত শুরু করেন মাওলানা জুবায়ের।