৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৮:১২

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আজমিরীগঞ্জে কারেন্ট (বিদ্যুৎ) যায় না, মাঝে মধ্যে আইয়্যে 

দীর্ঘ সময় লোডশেডিং থাকায় ফ্রিজে থাকা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গ্রহকের অভিযোগ নম্বরে ফোন করেও সাড়া মিলছে না কর্তৃপক্ষের৷

সন্ধ্যার আগে মুদি দোকান থেকে মোমবাতি হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মোঃ ডালিম  মিয়া (২৪)। হাতে মোমবাতি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারেন্ট (বিদ্যুৎ) যা শুরু করছে, ঠিকমতো খাইতে পারি না। সারা রাইত ঘুমাইতে পারি না। রাইতে কি আর আন্ধারগোন্দা (অন্ধকারে) তাহকন যাইবো, বিদ্যুৎ থাকার পরেও অন্ধকারে  তাকতে হয়।

থাকবেন কেন জানতে চাইলে ডালিম বলেন, ‘আমাদের আজমিরীগঞ্জ  উপজেলায় কারেন্ট যায় না, মাঝে মধ্যে আইয়্যে।’ তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন  আজমিরীগঞ্জ  জলসুখা  ইউনিয়নের ব্যাবসায়ী লিটন বলেন,‘কারেন্টের কথা বলে আর লাভ নেই। রাইতে-দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬-৭ ঘণ্টাও থাকে না। এই আসে, এই যায়। বাজারে তো গরম আরও বেশি। তারপরও দোকান খুলে বসে আছি। কী আর করব।’

আজমিরীগঞ্জ বাজারের ফার্মেসি দোকানের  (ঔষধ)   বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন,আজমিরীগঞ্জ বাজারে   মুটামুটি ভাল তাকে কিন্তুু গ্রামে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা    বিদ্যুৎ থাকে । এমন নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কম হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান,  ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না।’এখন   বৃষ্টি হচ্ছে  এরপর গরম প্রচুর গত এক সপ্তাহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি। তীব্র গরমে যখন মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে ঠিক তখনই এই লোডশেডিং।সকাল, দুপুর কিংবা রাতে দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকে বিরক্তি প্রকাশ ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ পেতে অভিযোগ নম্বরে ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মিলছে না বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষের।

আজমিরীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের ইঞ্জিনিয়ার  মাহবুব  হাসান এর সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান,  বর্তমানে যে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং হওয়ার কারণ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ আছে । ভারত থেকে আদানি গ্রুপ ১২০০মেগা ওয়াড বন্ধ করে দিয়েছে, এই জন্যে সরকারে দিতে পারতেছে না। পরিমানে খুবই কম দিতেছে। যা দিতেছে লোকাল এলাকায়  দেওয়া হচ্ছে ,  বিভিন্ন  সময় বিভিন্ন  রকম দেয় তা দিয়েই পোষাতে হয়। আমাদের কাজ বিদ্যুৎ বিতরণ করা। সাপ্লাই বেশি পেলে আমার বেশি সরবরাহ করতে পারব।’

আজমিরীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের ডিজিএম  মোঃ আবুল হাসান এর সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান   , ‘সারা দেশেই বিদ্যুতের সমস্যা। বিদ্যুতের উৎপাদন কম, চাহিদা বেশি। এছাড়া তীব্র গরমে এই চাপ আরও বেড়েছে। উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৬.৫ মেগাওয়াট  সারা উপজেলা  ১.৫ মেগাওয়াট  থেকে ২ মেগাওয়াট বর্তমানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান সরকার চেষ্টা করতেছে এই সমস্যা সমাধানের  জন্য।