আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বেপরোয়া মোটর সাইকেলের ধাক্কায় শহিদুল ইসলাম রাতুল (১২) নামে জলসুখা দারুল উলূম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কের জলসুখা অটোরিক্সা (সিএনজি) স্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি উসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে ঐ শিক্ষার্থী। শহিদুল ইসলাম রাতুল সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জলসুখা দারুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম রাতুল ইবতেদিয়ার চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং শরীফ উদ্দিন সড়কের জলসুখায় অটোরিক্সা (সিএনজি) স্ট্যান্ড থেকে কিতাব আনার জন্য গেলে বেপরুয়া গতিতে আসা মোটর সাইকেলের ধাক্কায় রাতুল রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। মোটর সাইকেলের চালক উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের পাঠুলিপাড়া গ্রামের হাবিব মিয়ার পুত্র টিটু মিয়া (২১) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার দুলুর্ভপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র হৃদয় মিয়া (২২) কে আটক করে তাদেরকেসহ রাতুলের চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি উসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতুল মৃত্য বরন করে। এ খবর শুনে সেখান থেকে ঘাতক টিটু ও হৃদয় পালিয়ে যায়। এদিখে স্থানীয়রা ঘাতকের ব্যবহৃত টিভিএস কোম্পানির আরটিআর মোটর সাইকেলটি আটক করেছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।