হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় সবিতা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এছাড়া শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘটনার পর থেকে সবিতার স্বামী মুক্তার মিয়াও নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতের পরিবার বলছে যৌতুকের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাইর গ্রামের (কান্দারহাটীর) মন্নর মিয়ার ছেলে মুক্তার মিয়ার সাথে প্রায় ১৪ মাস পূর্বে বিয়ে হয় একই গ্রামের ঈসমাইল মিয়ার মেয়ে সবিতা আক্তারের। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়েই তাদের মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকত।
এ বিষয়ে নিহত সবিতার চাচা পল্লী চিকিৎসক হাসান মিয়া বলেন- সপ্তাহ খানেক আগে সবিতার স্বামী মুক্তার ব্যবসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা এনে দিতে সবিতাকে চাপ দেয়।
তখন সবিতা বলে তার পক্ষে এখন টাকা এনে দেয়া সম্ভব না, কারণ তার ভাইয়েরা বিদেশে থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তারা টাকা পাঠায় না।
এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় সবিতার। বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় মনোমালিন্যের পর পিতার ঘরে চলে আসে সবিতা।
গত ১৫ মে শুক্রবার রাতে মুক্তার সবিতার বাবার বাড়িতে আসে। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে বাড়ির পিছনে থাকা পালিত হাস-মুরগীর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে সবিতার পিতা ঈসমাইল মিয়ার।
তখন দেখেন ঘরের পিছনের দরজা খোলা এবং তার মেয়ে সবিতা ও স্বামী মুক্তার ঘরে নেই। পরে ঈসমাইল মিয়া ঘর থেকে বের হতে গেলে দেখেন দুই ঘরের মাঝে সবিতার লাশ পড়ে রয়েছে। তখন তার চিৎকার শোনে বাড়ির লোকজন বের হয়ে সবিতার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পল্লী চিকিৎসক হাসান মিয়া আরো জানান- তার ভাতিজী নিহত সবিতা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এ ব্যপারে আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন জানান– ‘আমরা রাত তিনটার দিকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে আমরা কিছুই বলতে পারছি না। লাশ দুই ঘরের ফাঁকে পড়েছিল আবার গলায় রশির দাগও রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।