জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

আজ মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের জন্মদিন

“কবি ফররুখ আর ডেকে ডেকে বলবেনা
রাত পোহাবার কতো দেরি!
জেগে উঠো নতুন করে
একুশ শতোকের পাঞ্জেরী”।

আজ ১০ই জুন। প্রিয় কবি ফররুখ আহমদের জন্মদিন।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

ফররুখ আহমদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি। এই বাঙালি কবি ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। বিংশ শতাব্দীর এই কবি ইসলামি ভাবধারার বাহক হলেও তার কবিতা প্রকরণকৌশল, শব্দচয়ন এবং বাক্‌প্রতিমার অনন্য বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।

আধুনিকতার সকল লক্ষণ তার কবিতায় পরিব্যাপ্ত। তার কবিতায় রোমান্টিকতা থেকে আধুনিকতায় উত্তরণের ধারাবাহিকতা পরিস্ফুট। ” সাত সাগরের মাঝি ” কাব্যগ্রন্থে তিনি যে-কাব্যভাষার সৃষ্টি করেছেন তা স্বতন্ত্র এবং এ-গ্রন্থ তার এক অমর সৃষ্টি।

জন্মঃ জুন ১০, ১৯১৮
মাঝাইল, শ্রীপুর, মাগুরা, ব্রিটিশ ভারত।

পেশাঃ কবি, সম্পাদক, বেতার শিল্পী।

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি
নাগরিকত্ব, ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯১৮-১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১-১৯৭৪)।

সময়কালঃ বিংশ শতাব্দী
ধরনঃ কবিতা, ছড়া, গল্প, শিশু সাহিত্য

বিষয়ঃ মানবতাবাদ, ইসলামি ঐতিহ্য।
সাহিত্য আন্দোলনঃ রোমান্টিকতা।

দাম্পত্যসঙ্গীঃ সৈয়দা তৈয়বা খাতুন (লিলি)

কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনাঃ
সাত সাগরের মাঝি (ডিসেম্বর, ১৯৪৪)
সিরাজাম মুনীরা (সেপ্টেম্বর, ১৯৫২)
নৌফেল ও হাতেম (জুন, ১৯৬১)-কাব্যনাট্য
মুহূর্তের কবিতা (সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩)
ধোলাই কাব্য (জানুয়ারি, ১৯৬৩)
হাতেম তায়ী (মে, ১৯৬৬)-কাহিনীকাব্য
নতুন লেখা (১৯৬৯)
কাফেলা (অগাস্ট, ১৯৮০)
হাবিদা মরুর কাহিনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৮১)
সিন্দাবাদ (অক্টোবর, ১৯৮৩)
দিলরুবা (ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪)

শিশুতোষ গ্রন্থ সম্পাদনাঃ
পাখির বাসা (১৯৬৫)
হরফের ছড়া (১৯৭০)
চাঁদের আসর (১৯৭০)
ছড়ার আসর (১৯৭০)
ফুলের জলসা (ডিসেম্বর, ১৯৮৫)

পুরস্কারঃ
১৯৬০ সালে ফররুখ আহমদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি ফররুখ আহমদ ১৯৬৫ সনে প্রেসিডেন্ট পদক প্রাইড অব পারফরমেন্স এবং ১৯৬৬ সালে পান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার। ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে তাকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।

কবি মৃত্যু বরণ করেন অক্টোবর ১৯, ১৯৭৪
ঢাকা।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।

লেখকঃ মোহাম্মদ সিজিল মিয়া
বাংলা অনার্স জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।