হবিগঞ্জে কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোস্তাক মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকেরবাজার বলে জানা গেছে।
মোস্তাক মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মমিন উদ্দিন চৌধুরী।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।
একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা।
এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য হবিগঞ্জ ৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এ সময় তার বাসার সামনে থাকা ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সহস্রাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তাক মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খলিলুর রহমান জানান, ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি, যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।