একাদশে ভর্তি শেষ হবে কাল, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শীর্ষ কলেজে সমূহে পেমেন্ট হচ্ছে শিওরক্যাশে
একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম চলছে। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে শিওরক্যাশ পেমেন্ট সিস্টেমে মনোনীত কলেজে সমূহের ফি জমা দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১০ টা সরকারি কলেজ ও ১ টা বেসরকারি কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের রুপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ফি জমাদানের সুযোগ আছে।
এই কলেজগুলো হচ্ছে – মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, রাজনগর সরকারি কলেজ, কমলগঞ্জ সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, নবিগঞ্জ সরকারি কলেজ , আজমিরিগঞ্জ সরকারি কলেজ, জনাব আলী সরকারি কলেজ, শচীন্দ্র কলেজ । এছাড়াও আরও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে ফি জমা দিয়ে ভর্তি হতে হবে।
তবে এবার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র জমা ছাড়াই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাভাবিক সময়ে এসব কাগজপত্র জমা নেওয়া হবে।
এই কলেজগুলোতে মনোনীত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭০০শ জন । এই শিক্ষার্থীরা অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে কলেজের ভর্তি ফি নিজের শিওরক্যাশ একাউন্ট বা যে কোন এজেন্ট পয়েন্ট থেকে পেমেন্ট করে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টার যে কোন সময়, যেকোনো স্থান হতে শিক্ষার্থীরা তার সুবিধামত সময়ে ভর্তি ফি জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
রুপালী ব্যাংক শিওরক্যাশের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম খুব সহজে শেষ করতে পেরে শিক্ষার্থীরাও তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। বৃন্দাবন সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনিত শিক্ষার্থী শাকিল আহম্মেদ বলেন আমি কলেজে না গিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দেই এবং অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের সুযোগ থাকার কারণে আমি আমার সুবিধামতো সময়ে শিওরক্যাশের মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দিয়ে অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে খুব সহজেই আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছি ।হবিগঞ্জ গিয়ে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ২ দিন লেগে যেত । সহজ ও ডিজিটাল ভর্তি সিস্টেম চালু রাখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং শিওরক্যাশ কর্তৃপক্ষকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।
এব্যাপারে শিওরক্যাশের টেরিটোরি ম্যানেজার মোঃ জুয়েল হবিগঞ্জ নিউজকে বলেন, করোনার কারণে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১০ টা সরকারি কলেজ ও ১ টা বেসরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সাথে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এই শীর্ষ কলেজে ভর্তির জন্য মনোনিত মোট ৮ হাজার ৭০০শ জন শিক্ষার্থী যাতে খুব সহজেই তাদের ভর্তি ফি জমা দিতে পারে সেজন্য শিওরক্যাশের ৩২০০ জন এজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। তাদের সহযোগিতায় বেশীরভাগ শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে তাদের ভর্তি ফি জমা দিয়ে দিয়েছে। এছাড়া শিওরক্যাশের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ এলাকা থেকে ভর্তি ফি জমা দিতে পেরেছে।
বিশ্লেষকদের মতে এই করোনাকালে যদি সরকারি বেসরকারি সব কলেজে ভর্তির জন্য এই অনলাইন সিস্টেম চালু থাকত তাহলে যারা গ্রাম থেকে শহরের কলেজে বা এক এলাকার শিক্ষার্থী অন্য এলাকার কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে তারা নিজ নিজ এলাকা থেকেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারত। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসত।