আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ): সংরক্ষিত নারী আসনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নারী নেত্রী আলহাজ্ব শামছুন্নাহার চৌধুরী সংসদ সদস্য হতে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য চুনারুঘাট তথা হবিগঞ্জবাসী দাবী জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়াম তাকে নিয়ে চলছে নানা প্রচারনা।
আলহাজ্ব শামছুন্নাহার চৌধুরী ১১৯৮৮ সালে প্রথম চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। তখন থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িত হন।
১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
তৎকালীন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন চৌধুরী অসুস্থ্যতার কারনে বার বার বিদেশ গমনকালে শামছুন্নাহার বেশ কয়েকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তার নেতৃত্বেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছিল। আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত।
২০১১ সালে তিনি দেওরগাছ ইউনিয়নে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একাধিকবার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে তিনি দ্বিতীয় বার দেওরগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
ব্যক্তিগত জীবণে তিনি ২ ছেলে ও ৫ মেয়ের জনক। তার স্বামী চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
আবু তাহের ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি, সভাপতি, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বর্তমানে দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদক। তার নেতৃত্বেই মুলত চুনারুঘাট আওয়ামীলীগ সংগঠিত।
আলহাজ্ব শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। পেয়েছেন অতিশদিপঙ্খর, জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান। কাজ করছেন নারী উন্নয়নে। তিনি এবার সংরক্ষিত আসনে হবিগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী। এলাকার জনগনও তাকে বৃহৎ সেবার জন্য এবার সংসদে দেখতে চায়।
এবিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুনারুঘাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র দেব বলেন, শামছুন্নাহার একাধারে রাজনীতিবিদ, নারী নেত্রী ও একজন্ আদর্শ গৃহিনী। তিনি সমাজের মানুষের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নিজের পরিবারও দেখা শুনা করেন। তার ছেলে মেয়েুরা সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন।
নারী নেত্রী শিরিন মেম্বার বলেন, শামছুন্নাহার আপাকে এবার সংসদে চাই। তিনি ৩ বার চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের সেবা করেছেন। এবার সংসদে দেখতে চাই তাকে। এভাবে উপজেলার নানা স্তরের মানুষই তাকে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।
আলহাজ্ব শামছুন্নাহার বলেন, আমি ১৯৮৮ সাল থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হই। এখনও মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। মানুষকে নিয়েই আমার কাজ। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে আমি কাজ করে যা্িচ্ছ। আল্লাহ যদি আমাকে নেই সুযোগ দেন, সংসতে যেতে পারি তাহলে নারীদের উন্নয়নে আরো অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারবো। সেজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।