এম,এ আহমদ আজাদ,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ): সংরক্ষিত আসনের এমপি পদে নবীগঞ্জের চার মহিলা প্রার্থী এখন আলোচনা শীর্ষে। কে হবেন এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। এই চারজনের বাহিরের কেউ হতে পারেন সব নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় কমিটির সিন্ধান্তের উপর।
সিলেট-হবিগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত সিলেট বিভাগের সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনে দশম সংসদে এমপি ছিলেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। তিনি হবিগঞ্জ-১ আসনের অপর উপজেলা বাহুবলের কাগাউড়া গ্রামের বাসিন্ধা।
সিলেট বিভাগের সংরক্ষিত এই আসনে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪ জন নতুন প্রার্থী দুটি সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে মরিয়া। তাদের প্রায় সবাই দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়।
নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ৪ জন প্রার্থী সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান। তারা নানা ভাবে চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পাল্লামেন্টারী বোর্ডের কাছে। কেউ কেউ আবার গন ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেছেন। এদের মধ্যে কারও স্বামী বা বাবা-মা, শ্বশুর আওয়ামী লীগের বড় নেতা।
সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে আগ্রহীদের অধিকাংশই কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং করছেন। এবারে নতুনদের বেশি সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনায় থাকায় আগ্রহীদের স্বজনরাও তৎপর রয়েছেন।
আলোচনায় আছেন, সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর মেয়ে ও সিলেট জেলা পরিষদ এর প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ান রুবা জেবীন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পর্যবেক্ষক উপ-কমিটির সদস্য ও জালালাবাদ এসোসিশেয়ন এর যুন্ম সম্পাদক ফাহিমা চৌধুরী মনি, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান, সিনিয়র যুন্ম সাধারণ সম্পাদক যুব মহিলালীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখা ও জনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাএ সংসদ সাবেক জি এস শিরিন আক্তার, হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি ইসমত চৌধুরী ও সংরক্ষিক আসনের সাবেক মহিলা এমপি আবেদা চৌধুরীর কন্যা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য ডাঃ নাজরা চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সম্ভাব্য এই ৪ প্রার্থীর বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
তারা পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
রাজনৈতিক ভাবে তারা বেশ পরিচিত মুখ। এর মধ্যে ডাঃ নাজরা চৌধুরী হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু ঠিকেট পাননি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পর্যবেক্ষক উপ-কমিটির সদস্য ফাহিমা চৌধুরী মনি, বলেন, কোন মন্তব্য না করে বলেন “ প্রধানমন্ত্রী মূল্যায়ন করবেন” সেটাই মেনে নিবো।’
সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর মেয়ে ও সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য দেওয়ান রুবা জেবীন চৌধুরী সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে তিনি আমি মনোনয়ন চাইবো সব কিছু নেত্রীর হাতে তিনি যা ভাল মনে করেন সেটাই মেনে নিবো। হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য শিরিন আক্তার অবশ্য নিজে আগ্রহী। তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি আশা করি দল আমাকে মুল্যায়ন করবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য ডাঃ নাজরা চৌধুরী, তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। আওয়ামী লীগের সুখে-দুঃখে ছিলাম, আছি।মা-বাবা দুইজনই আওয়ামীলীগের এমপি ছিলেন দলের জন্য কাজ করেছেন আশা করি এসবের মূল্যায়ন পাব।’