হবিগঞ্জে এক নামে পরিচিত পইলের সাব আজ আর নেই। সবাইতো আর চিরদিন থাকবে না। তবে পইলের সাবের সুনামধন্য ছেলে সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ তো আছেন। যিনি পইলের সাবের ন্যায় মানুষের সেবায় নিজেকে দিন রাত সঁপে দিয়েছেন। তাই পইলের সাবের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মানুষের কাছে তিনিই যেনো দ্বিতীয় পইলের সাব।
দ্বিতীয় পইলের সাব তথা সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ সম্পর্কে কিছুটা তুলে ধরা হলো ছবি ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।
কোন এলাকার মানুষকে যদি মাদকাসক্ত থেকে বাঁচাতে হয় তাহলে সেই এলাকার মধ্যে বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজনের বিকল্প নেই।
তাই নিজ ইউনিয়নের যুবকদের খেলাধুলায় পারদর্শী করে তুলতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলার আয়োজন করেন তিনি। বেশিরভাগ খেলা হয় পইলের ইউনিয়ন মাঠে।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চক্ষু শিবির আয়োজন করে শতশত রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন করিয়ে থাকেন।
কোরবানীর ঈদ আসলেই ৩০/৩৫ টা গরু কোরবানী দিয়ে অসহায়দের মধ্যে নুন্যতম ২কেজি করে মাংস বিলি করেন।
ভিট আছে তো মসজিদ নেই, এমন খবর পেলেই বিনামূল্যে সম্পূর্ণ পাকা মসজিদ নির্মাণ করে দেন টিউবওয়েল, সাপ্লাই স্যানিটারি সহকারে।
কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেনা টাকার অভাবে, শুনলেই গোপনে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত। কেউ অসুস্থ শুনলেই ছুটে চলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারছেনা শুনলেই দায়িত্ব নেন তাদের। রিকশা, সেলাইমেশিন দিয়ে গরীবদের জীবিকার রাস্তা তৈরি করে দেন।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সম্ভবত অফিস টাইম, তারপর অফিস বন্ধ। যেখানে দেশের অন্যান্য সকল চেয়ারম্যান যখন বিকালে বউ-বাচ্চাদের জন্য ঘরে ফিরেন।
সেখানে তিনি ছুটে চলেন নিজ ইউনিয়নের গ্রামের ঘরে ঘরে। রাতে-বিড়াতে ছুটে চলেন মানুষের সেবায়। অন্ধকারে হঠাৎ হাজির গরীব-অসহায়দের বাড়িতে।
কারো ঘর ভাঙ্গা, তো কারো ঘর মোটামুটি ভালো হলেও দুয়ার ভালো নেই, কারো ঘরে খাবার নেই, টাকার অভাবে ওষুধ কিনে খেতে পারছে না, এমন মানুষদের খোজ রাত ২/৩ টা পর্যন্ত করা চলেই।
নিজ পকেটের টাকায় দিনরাত তাদের সাধ্যমতো সেবা করে যাচ্ছেন। এভাবেই চলছে তার দিনকাল।
বিচার-আচার লেগেই আছে, একটা শেষ না হতেই আরেকটায় যাওয়ার ডাক।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চেয়ে চাল চোর, তেল চোরের সংখ্যা বেশি। সেখানে সরকারের অনুদানের ত্রাণ তিনি ঠিকটাক মতো সবার ঘরে ঘরে নিজেই পৌছে দিচ্ছেন দিনরাতে।
সরকারি ত্রান ছাড়া নিজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষদেরকে ৫ কেজি করে চাল উপহার দিচ্ছেন তিনি।
এই চাল পেয়ে তারা খুব খুশি। এটা যেন অসহায়দের কাছে লাগে অমাবস্যার রাতে জোসনার চাঁদ। এভাবেই দিনরাত সকলের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে অবগত করছেন।
উপরোক্ত কর্মকাণ্ডে পইল ইউনিয়নের মানুষ পইলের সাব কে হারানোর ব্যথা যেনো দিন দিন ভুলে যাচ্ছে এবং সকলের কাছে তিনিই হয়ে উঠছেন দ্বিতীয় পইলের সাব।