জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

কক্সবাজারের খুরুশকুল সড়কে গাড়ি চলাচলে দিতে হয় টাকা!

করোনা পরিস্থিতির কারনে কক্সবাজার খুরুশকুল সড়কে গাড়ী চলাচল করতে টাকা নিচ্ছে পুলিশ। দিনের বেলায় মুরগীর গাড়ী,লাকড়ী,মুদির দোকানের মালামাল,পান-সুপারীর গাড়ী সহ বেশির ভাগ গাড়ী থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা নিয়ে তারপর গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এছাড়া সন্ধ্যায় ৬ টার পর প্রতিটি সিএনজি, মটর সাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ী থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

শহরের ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা কানন পাল বলেন, ” আমি খামার থেকে মুরগী কিনে বাজারে সরবরাহ করি। করোনা পরিস্থিতির কারনে আমাদের সব দিকে লোকসান, তার উপর খুরুশকুল রাস্তা দিয়ে আসতে গেলে ২০০ টাকা দিতে হয়। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশদের টাকা না দিলে তারা গাড়ী আসতে দেয় না। ”

১৯ এপ্রিল এই রোড়ে চলাচল কারী বেশ কয়েকটি লাকড়ীর গাড়ি মুদির দোকানদার,তরমুজের গাড়ী,এমনকি কাঠ ভর্তি গাড়ী থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে লিখিত স্বাক্ষর করে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

এছাড়া এই রোডে চলাচলকারী সিএনজি চালকদের দাবী দিনের বেলায় কিছুটা নমনীয় থাকলেও সন্ধ্যার পর চলাচলকারী প্রতিটি সিএনজি থেকে ৫০ টাকা করে নেয় পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২৫ মার্চের পর থেকে খুরুশকুল ব্রীজের পাশে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে গাড়ী এবং মানুষের চলাচল সীমিত করেছে পুলিশ।

এখানে দায়িত্ব পালন করছেন কোর্ট পুলিশর মকবুল এবং জাকের নামের দুজন কর্মকর্তা এবং তাদের তত্বাবধানে বেশ কয়েকজন সিপাহী।

পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ এপ্রিল বিকালে গিয়ে দেখা গেছে একটি পোনার গাড়ী দাড় করিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে একজন পুলিশ সদস্য। পরে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার জাকির বলেন,করোনা পরিস্থিতির কারনে দেশের সবাই যখন ঘরে তখন পুলিশ রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছে। এখানে টাকা নেওয়ার কথা সঠিক না। তাছাড়া এ বিষয়ে আমাদেরকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

এদিকে খুরুশকুল ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এবং সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ জানান, শুধু গাড়ী থেকে নয় অনেক সময় পথচারীদের আটক করেও টাকা আদায় করছে পুলিশ। আমরা সব কিছু জানি কিন্তু কিছুই করার নেই।