২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৪৯

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

কর্মবিরতির পর শনিবার থেকে বাগান চালু

হবিগঞ্জে তিনটি চা বাগানে সাপ্তাহিক বেতন – রেশন -বোনাস এর মধ্যে দুটি দেয়া হয়েছে এবং শুধু একটি পাওনা কারণে দেউন্দি টি কোম্পানি চারটি বাগানের মাঝে লাল চান্দ , নোয়াপাড়া ও দেউন্দি চা বাগানে প্রায় ৪ হাজার ৮ শত শ্রমিকরা চারদিন ধরে কর্মবিরতী পালন করায় চা-পাতা উওোলন ও কারখানা বন্ধ থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানি ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলা লাল চান্দ চা বাগানে দুর্গা মন্দিরে লাল চান্দ চা বাগানের সভাপতি বাবু সাগর বাউরী সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সংগঠক উজ্জ্বল কুমার দাশের উপস্থাপনায় দেউন্দি কোম্পানি অধীনে চারটি চা বাগানে পনচায়েত কমিটি মেম্বার , সাধারণ চা শ্রমিক , যুবক ও ছাত্রসহ ৪ শতাধিক উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুল আক্তার , বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভেলী সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় , সহ-সভাপতি ধনা বাউরি , সাধারণ সম্পাদক অনুরোদ্ধা বাড়াই।

এদিকে ৩০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ৪দিন ধরে একটি বাকি পাওনা জন্য চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করায় দেউন্দি কোম্পানি অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে ।

এতে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানিয়েছেন । লাল চান্দ চা বাগানের জীবন কুমার গোশ বলেন , আমাদের সাপ্তাহিক বেতন – রেশন – বোনাসের মধ্যে দুটি পাওনা দেওয়া হয়েছে কিন্তু একটি পাওনা কোম্পানি মালিক পক্ষ না দেওয়ায় সকল শ্রমিকরা খুব কষ্টে রয়েছি । কোম্পানি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে রয়েছে কিন্তু কেউ মনে করে বাগান কর্তৃপক্ষের হাতে টাকা মালিক পক্ষ দিয়েছে । বাগান শ্রমিকরা খুব কষ্টে আছে । পাওনা টাকা জন্য অনেকেই ভাতের মাড় ও বাগানের টিলা থেকে শাক পাতা সেদ্ধ করে খাচ্ছে । এভাবে আর কতদিন পর পাওনা টাকা পাবে জানে না। বাগান শ্রমিকদের কষ্ট কে দেখবে ?

গত ২৩ এপ্রিল চা শ্রমিকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন করলে জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা চা বাগান শ্রমিকদেরকে ডেকে নিয়ে আলোচনা হয় এবং চা শ্রমিকরা জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ নিয়ে চা শ্রমিকরা আনদোলন প্রত্যাহার করে চা বাগান চালু হয় ।

এর মধ্যে বাগান কর্তৃপক্ষ ৩ টি পাওনা বেতনের মাঝে ২ টি দেয়া হয়েছে কোম্পানি মালিক । শুধু ১টি বকেয়া পাওনা রয়েছে বলে চার দিন ধরে চা বাগান বন্ধ রেখে দিয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে । এসময় বিভিন্ন চা বাগানের অনেক নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন ।

প্রধান অতিথি নিপেন পাল বলেন , চা বাগানে একটি কমিটি হবে । এই কমিটি মাধ্যমে সামনের দিন গুলো কাজ করবে জানান ।

তিনি বলেন , কোম্পানি বাগান ক্ষতি সাধন করা দরকার নেই শনিবার (৩ আগস্ট) থেকে নিজ নিজ চা বাগানে যোগদান করার নির্দেশ দেন। যদি কমিটি বৃন্দরা কোম্পানি মালিক পক্ষ কাছে সফল না হন তাহলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে ঘেরাও করা হবে নতুবা মহাসড়কে বড় ধরনের আনদোলনের ডাক দিবেন ।

লাল চান্দ চা বাগানের ব্যবস্থাপক মোফাজ্জল হোসেন বলেন , কোম্পানি মালিক অসুস্থ অবস্থায় ইউরোপে আছেন । আমরা কোম্পানি মালিক এর সাথে কথা হয়েছে । শিগগির এদের পাওনা টাকা সমস্যা সমাধান করা হবে ।