মাধবপুর থেকে আবুল হোসেন সবুজ ও হামিদুর রহমানঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামে কুকুরের পা ভাঙা নিয়ে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুত্বর আহতদেরকে সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘর ও দোকান-পাটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে এ সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানান, রোববার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের নাসির উদ্দিন লস্করের পালিত কুকুর একই গ্রামের মনির উদ্দিনের হাঁসের খামারে ধাওয়া দেয়। এ সময় মনিরের ছেলে পাল্টা ধাওয়া দিলে কুকুরটির পা ভেঙে যায়।
এ নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম দফা সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
গুরুতর আহত শিরু মিয়া (৫৫), মোতাচ্ছির মিয়া (২৬), সারফিন (২৫), নিজাম উদ্দিন (২৮), রোকন উদ্দিন (৩২), বাছির মিয়া (৩৮), রানু বেগম (৪০), নূরউদ্দিন (২৭), নূর আহম্মদ (৩২), সালেক মিয়া খাঁন (৩৫), বাহার খন্দকার (৩২), লাফু মিয়া লস্কর (৩০), সুজন চৌধুরী (৩৮), আসকির মিয়া লস্কর (৬০), সুমন খাঁন (৩৫), সোয়াই মিয়া মোল্লা (৫০), বাছির মিয়া (৩৮), নাসির মিয়া (৩৫), জাহেদ মিয়া (৩৮), শেখ ফখরুল ইসলাম (৪২), মিনহাজ মিয়া (৩৮), সাদ্দাম মিয়া (২৬), সোহেল মিয়া (৩৬), খোকন মিয়া (৩৫) ও আরিছ মিয়াকে (২৮) সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া হাসপাতাল এবং নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।