বিল্লাল আহমেদ: বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত লাখাই, সিংহগ্রামের সিংহগ্রাম ইত্তেহাদুল উলামা পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও তরুন সাংবাদিক ডিপ্লোমা কৃষিবিদ হাফেজ শামীম আহমদ চৌধুরীর সাবেক ছাত্র বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমদ।
আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করে দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন শায়খ নেসার আহমাদ আন নাসিরী পরিচালিত রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ বশির আহমাদ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩ টায় বাংলাদেশের গর্ব হাফেজ বশির আহমাদকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ কুরআনপ্রেমী মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানান। এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার, তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আর নাছিরী, বিশিষ্ট আলেম মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী ও হাফেজ বশির আহমাদের পিতা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নিজের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এবং বাবা মায়ের চেষ্টা শ্রমের ফলে মাত্র ৫ মাসে পুরো কুরআন মুখস্থ করেন বিস্ময়কর এই হাফেজ। এরপর ২০২১ সালে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হাফেজ নির্বাচিত হন হাফেজ বশির। এবার বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরেন বাংলাদেশি এই ক্ষুদে হাফেজ। সেখানে বিশ্বের ৯০টি দেশের বাছাই করা সেরা হাফেজদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেকে প্রমাণ করেন ১৩ বছর বয়সী হাফেজ বশির। ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করা ২০টি দেশের প্রতিযোগীর মাঝে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন তিনি। তার এই কৃতিত্বে দেশবাসির সাথে উচ্ছ্বাসিত তার বাবা মা এবং উস্তাদবৃন্দ।
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের বাসিন্দা জিরুন্ডা মানপুর তোফাইলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. আব্দুর রশিদ ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে হাফেজ বশির। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরান অনুষ্ঠিত বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করবে সে। সেখানেও প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চান হাফেজ বশির আহমাদ।