বিশ্বকাপ দলে তাঁকে নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল কি না এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাশিম আমলাকে ছাড়া খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পাওয়ায় উত্তরও মিলেছিল। তাই বলে এমন ঘোষণার জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউ। শুধু ওয়ানডে নয়, সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে নিলেন আমলা। এখন থেকে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটেই দেখা যাবে তাঁকে।
২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সংক্ষিপ্ত সংস্করণগুলোতে আগমন আরও অনেক পরে। ২০০৮ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা আমলার টি-টোয়েন্টি অভিষেক ২০০৯ সালে। তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে থাকল বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি। সে ম্যাচে ৮০ রানে অপরাজিত থাকলেও পুরো বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন আমলা। ৭ ম্যাচে ২০৯ রান করেছেন দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা। একসময় কোহলির প্রতিটি হাজার রানের মাইলফলক দখলে নেওয়া আমলা ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ করলেন ৮১১৩ রান নিয়ে। ২৭ সেঞ্চুরি ও ৪৯.৪৬ গড় নিয়ে!
টেস্টের আমলা আরও দুর্দান্ত। ২৮ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৬৪ গড়ে ৯২৮২ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর আগে শুধু জ্যাক ক্যালিসই আছেন। আজ বিদায়বেলায় আমলা বলেছেন, ‘সবার আগে খোদাকে ধন্যবাদ আমাকে প্রোটিয়াদের হয়ে এ যাত্রার সুযোগ দেওয়ার জন্য, যা আমাকে আনন্দ ও গৌরব এনে দিয়েছে। এ যাত্রায় অনেক কিছু শিখেছি, অনেক বন্ধু পেয়েছি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভ্রাতৃত্বের ভালোবাসা পেয়েছি, যারা নিজেদের প্রোটিয়াফায়ার বলে।’
বিদায়বেলায় সম্ভাব্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমলা তাঁকে এ সুযোগ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আর শেষ করেছেন এভাবে, ‘আমি সব সুযোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই, আমি কৃতজ্ঞ থাকব। ভালোবাসা ও শান্তি।’