জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

খোয়াই নদীর পানি শায়েস্তাগঞ্জে বিপদ সীমার ১৭০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে

চারদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কমপক্ষে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রাম নিচু এলাকা কারণে শহরে বাসা – বাড়ি , সরকারি – বেসরকারি অফিস , দোকান পাঠ, রাস্তা ও গ্রামের পাড়া মহল্লায় পানি উঠেছে
ডুবে গেছে ফসলি জমি ও মৌসুমি সবজি ।

এদিকে উপজেলার খোয়াই নদীর পানি ২২ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪টা দিকে খোয়াই নদীর পানি গিয়ে দেখা যায় , চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত পয়েন্ট বিপদ সীমার ২০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ১৭০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুতাং নদীর পানি বাঁধ উপচে কয়েক শত হেক্টর ধানের ফসলি জমি আউশ ফসল তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও নতুন করে আর-ও কয়েকটি গ্রামের পাড়া মহল্লায় প্লাবিত হতে পারে। জানা যায় , ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির কারণে উজানের ঢলে পানি নামছে খোয়াই নদী দিয়ে আসছে ।

যা বিগত ১৯৮৮ সালের বন্যা চেয়ে ও খোয়াই নদীতে দেখা যায় পানি । খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি স্রোত বেশি । তবে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত পয়েন্ট থেকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় খোয়াই নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে স্থানে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । বেশি আতংক রয়েছে উপজেলার পৌরশহরে আলাপুর আংশিক , পূর্ব লেঞ্জাপাড়া, পুরান বাজার , কুটির গাও এলাকা দিয়ে । দীর্ঘ বছর ধরে বাঁধ মেরামত না করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থান। প্রতিটি এলাকা লোক জন দিবা- রাত্রি খোয়াই নদীর বাঁধ পাহারা দিচ্ছে ।

এছাড়া ইদুরের গর্ত করা দিয়ে পানি বের হওয়া দৃশ্য দেখে প্রতিটি গ্রামের মানুষ ও সেনাবাহিনীরা বালুর বস্তা দিয়ে পানি বেঁধে রাখছে । এর মধ্যে ভয় রয়েছে মানুষের মধ্যে কোথায় ভাঙা দিবে আতংক রয়েছে ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় , উপজেলার পৌরশহরে ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের আলাপুর আংশিক , চরহামুয়া , হামুয়া এলাকা রয়েছে খুব ঝুঁকি পূর্ণ মধ্যে । পৌর শহর ও ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ রয়েছে আতংকে । অপর দিকে সুতাং নদীর পানি বাঁধের ওপর দিয়ে পানি যাওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে মররা, ডাকিজাংগাল, নিশাপট , ফরিদপুর , কাজিরগাঁও , খরখর হাটি , লাদিয়া, কদমতলী সহ আরো কয়েকটি গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়ে রাস্তা , বাড়ি ঘরে উঠানে পানি জমেছে এবং সকল সবজি , ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে ।

অন্য দিকে নুরপুর ও ব্রামণডোরা ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রামের পাড়া মহল্লায় বাড়ি ঘরের উঠানে ও রাস্তায় পানি উঠেছে । এমন কি পৌর শহরে অনেক পাড়া মহল্লা ও সড়কে পানি জমাট হওয়ায় ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে খুবই কম ।