হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে এক খুচরা মাদক(ইয়াবা) ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যবসায়ী হলো বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ন মাইজের মহল্লার মন্জু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া(৪২)।
২৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার)রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর নির্দেশে এএসআই জাকিরসহ একদল পুলিশ ১৫পিস ইয়াবাসহ ফারুক নামের এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পরে এই ব্যবসায়ী থানায় অফিসার ইনচার্জ এর সামনে বানিয়াচংয়ের ইয়াবার সম্রাট সাইদুল হকের কাছ থেকে রাত ১০টার দিকে পাইকারি দামে কিনে নেওয়ার বিষয়টি শিকার করে বলেও পুলিশ সূত্রে জানাযায়।
এছাড়াও মাদক সম্রাট সাইদুল হক সম্পর্কে এক অনুসন্ধানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর
তথ্য উপাত্ত বেরিয়ে আসে।
বর্তমানেও বানিয়াচং উপজেলা সদরের ভিতরে ১০/১৫জনের মতো একটি মাদকের সিন্ডিকেট তৈরী করে করে সে ইয়াবা পাইকারি ধরে বিক্রি করে যাচ্ছে।
উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল হক মিয়ার পুত্র হলো এই কুখ্যাত মাদক সম্রাট সাইদুল হক(৪২)।
বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে বানিয়াচং থানা পুলিশ ছাড়াও র্যাব,ডিবি পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে।
শুধু এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে।
এনিয়েও রয়েছে নানান গুঞ্জন।
কুখ্যাত মাদক সম্রাট সাইদুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে বানিয়াচং থানাসহ একাধিক থানায় ১৪টির মতো মামলা।
তারপরও থেমে নেই তার মাদকের ব্যবসা।
নিজ বাড়িতে তৈরী করেছে ছাদ দিয়ে বিল্ডিং এবং ব্যবসা করার জন্য নিজ ঘরে স্হাপন করেছে নিয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নিজ মোবাইল ফোনে এসব সেটিং করে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে ব্যবসা।
এক অনুসন্ধানে দেখাযায়,বানিয়াচং উপজেলা সদরের ভিতরে বর্তমানে সে নিজে নিজে মোটরসাইকেলে করে ১০/১৫জন খুচরা ইয়াবা(মাদক) ব্যবসায়ীকে পাইকারি ধরে ইয়াবা বিক্রি করে যাচ্ছে।
বর্তমানে সকল ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে ছাড়া আর কোথাও হতে মাদক সংগ্রহ করতে হয়না বলেও এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সাইদুল হক সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছ থেকে এসবের সত্যতাও পাওয়া যায়।
এছাড়াও সাইদুল হকের এই বিষয়টি থানা পুলিশের একাধিক পুলিশ সদস্যরাও জানেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ৫/৬দিন পূর্বে থানা পুলিশ সাইদুল হকের বাড়ির পাশের বাড়ির জাহাঙ্গীর নামের আরেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করেন।
এরপর থেকে সাইদুল নিজেকে সিলেট আত্মগোপনে রয়েছে বলে খুচরা ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের কাছে প্রচার করে আসছে বলেও জানা যায়।
অথচ ঠিকই বাড়িতে থেকে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে।
বর্তমানে তারা বলেন বানিয়াচং সদরে এখন এই সাইদুল হকের ইয়াবায় সয়লাবে পরিনত হয়েছে।
এমনকি এই মাদক(ইয়াবা)সম্রাট সাইদুল হকের ৩টি বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে মাদকের টাকা লেনদেন করে যাচ্ছে।
এসবের বিষয়ে এলাকাবাসী ও নাম না বলার শর্তে কয়েকজন সেবনকারী ও দুই খুচরা ব্যাবসায়ীর কাছ থেকেও সত্যতা পাওয়া যায়।
তবে তারা বর্তমানে এসবের মধ্যে নেই এবং নিজেরা লেবারের কর্ম করে জীবীকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন।
তাই তারাও চান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাকে শীঘ্রই যেন গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে এসব বন্ধ করে বানিয়াচংবাসীকে রক্ষা করেন।
ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত ফারুক সম্পর্কে জানতে অভিযান পরিচালনাকারী জাকির হুসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে আদালতে প্রেরন করা হবে।
এবং ওসি স্যারের নির্দেশে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।