জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রক্ত যত বেশি গিয়েছে সফলতা ততই বেশি এসেছে,যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জি কে গউছ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেছেন- গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রক্ত যত বেশি গিয়েছে সফলতা ততই বেশি এসেছে। মামলা-হামলার ভয় করে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজনীতি করে না। দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি নেতাকর্মীরা রক্ত দিতে প্রস্তুত। কোন তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে বিএনপিকে রাজপথ থেকে সড়ানো যাবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত করেই বিএনপি ঘরে ফিরবে।তিনি গতকাল রবিবার যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপি কোন সভা-সমাবেশ করতে পারে না, আজকে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালি করতে দেয়া হচ্ছে না। পুলিশ বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে, এটাই কি আওয়ামীলীগের গণতন্ত্রের নমুনা। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা রাজধানীকে ক্যাসিনো শহরে পরিণত করেছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তাদের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হচ্ছে। অথচ মাত্র ২ কোটি টাকার মিথ্যা মামলা দিয়ে ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এর পরিনাম কত ভয়াবাহ তা আওয়ামীলীগের জানা নেই। কোন স্বৈরশাসকই আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আওয়ামীলীগও বাংলাদেশের শেষ সরকার নয়। অতিশীঘ্রই গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত করা হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।তিনি বলেন-প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা এই অভিযানকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই অভিযান শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। হবিগঞ্জে দুর্নীতিবাজ ভর্তি। হবিগঞ্জের পুলিশও দুর্নীতিমুক্ত না। হবিগঞ্জে যারা ভাড়া বাসায় থাকতেন, টিনের ঘরে বসবাস করতেন, তারা আজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। দেশে-বিদেশে বিশাল বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই দুর্নীতিবাজদেরকে হবিগঞ্জের পুলিশ রাষ্ট্রের তেল জ্বালিয়ে আগে-পিছে পাহারা দিচ্ছে |জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, মহসিন সিকদার, আব্দুল মালেক, শাহ আলম গোলাপ, এনায়েত উল্লাহ খান, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুযেল, এডভোকেট জুলজার খান, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, হেলাল আহমেদ টিপু, মালেক শাহ, অলিউর রহমান অলি, শেখ মামুন, মিজানুর রহমান সুমন, জয়নাল আবেদীন, নজরুল ইসলাম, আরব আলী, আব্দুল করিম, তৌফিকুল ইসলাম রুবেল,  নাসির উদ্দিন মাহিন, শারফিন চৌধুরী রিয়াজ, সাদিকুর রহমান লিটন, খালেদুর রশিদ ঝলক, সোহেল রিপন চৌধুরী, কবির খান চৌধুরী, এডভোকেট মোজাম্মেল, নজরুল ইসলাম কাওছার, তাউছ মিয়া, তারেকুর রহমান তারেক, মাহমুদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম আকঞ্জি, জালাল উদ্দিন সজলু, আনোয়ার হোসেন বাদল, আরিফ চৌধুরী, রুবেল হোসেন, শাহানুর রহমান আকাশ, সোহেল মিয়া, মিলন খান, হাসান মামুন, মোশাহিদ আলী, মোঃ মালু, এমদাদুল্লাহ খান, সাইফুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, জালাল মিয়া, জুয়েল রানা, নাজমুল হোসেন ফারুক, সাইদুর রহমান, নরোত্তম দাস, দেলোয়ার হোসেন দিলু, রমজান আলী জুয়েল, শাহ নেওয়াজ মেম্বার, আব্দুল কাউয়ুম, জমির আলী, শাহ আলম, ইলিয়াছ মিয়া, সেলিম আহমেদ, নুরুল আমিন, শিতেশ দাস, আরজত আলী, আব্দুস সালাম, কদর আলী, হাবিবুর রহমান বেনু, মিজানুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মাসুক মিয়া, আল আমিন, জয়নাল আবেদীন, সৈয়দ নাইম, আমিন শাহ, সুনানন্দ্র দাস, মোঃ শাহিন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ কাশেম, মোঃ নিপু, শেখ মোঃ জালাল প্রমুখ।