ঘূর্ণি ঝড় মিধিলি’র প্রভাবে হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষকের স্বপনে ‘ দিনভর টানা বৃষ্টি হানায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে ।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন অফিস , স্কুল – কলেজ গামী শিক্ষার্থী ভোগান্তি থাকেলও হাট-বাজার , দোকান-পাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষের চরম ভোগান্তি পড়তে হয়েছে । এর মধ্যে রিক্সা , ভ্যান চালক ও দিনমজুর পড়েন বেশি বিড়ম্বনায় ।
এদিকে উপজেলা পৌর শহরে ও ইউনিয়নে গ্রামের বেশ কিছু নিচু এলাকায় বাসা- বাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশের খবর পাওয়া যায় ।
এছাড়া ও অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানি কৃষি জমি থেকে নিক্সাশন না হওয়ায় ফসল অনেক ক্ষতি সাধন । তবে বৃষ্টি পাতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজি , পাকা আমন ধান ও বুরো ধানের বীজ। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে শীতকালীন সবজি ফুলকপি , বাঁধাকপি , লাল শাক , শিম , আলু , ধনেপাতা , টমেটো , বোরোধানের বীজ, আমন পাকাধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
জানা যায় , বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ) মধ্য রাত থেকে ঘূর্ণি ঝড় মিধিলি’ র প্রভাব পড়তে শুরু করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহ আশপাশ উপজেলা এলাকায় । শুক্রবার (১৭ নভেম্বর ) সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হয় একটানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঘূর্ণি ঝড় । যে কারণে জনজীবনে নেমে আসে অস্বস্তি । বৃষ্টির কারণে উপজেলা তেমন দেখা মেলেনি রিস্কা, টমটম , ভ্যান , টমটম । ফলে দূর দুরান্ত যাএী চলাচল , বিয়ে , শিন্নি , চিকিৎসা , মৃত লাশদের পড়তে হয় অনেক বিড়ম্বনা ।
এমনকি ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এবং একটানা ৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না । পৌর শহরের হতদরিদ্র রিক্সা চালক মোঃ নিনার মিয়া জানান , আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ । আমাদের কৃষি জমি নেই , বাজারে গেলে দ্রব্যমূল্য দাম বেশি কিন্তু বাজারে গেলে প্রায় ক্ষম পক্ষে ১হাজার টাকা নিচে বাজার হয় না । আমরা পরিশ্রম করে দৈনিক ৫শ টাকা রোজগার করে কোনো মতো চলি । কেউ আমাদের সাহায্য করে না । প্রতিদিন আমি জীবিকা তাগিদে আমাদের বৃষ্টির মধ্যে বের হতে হয় । বৃষ্টির কারণে রিক্সা নিয়ে বের হলে পৌর শহরে দাউদ নগর বাজার , রেল পার্কিং , রেলগেইট , পুরান বাজার , নতুন ব্রীজ এলাকায় মানুষ না থাকায় ভালো রোজগার হয়নি ।
ভ্যান চালক মোঃ সফিক মিয়া জানান , বৃষ্টির মধ্যে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু কোনো রোজগার হয়নি ।
শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের কৃষক মোঃ ছাইব উল্লা জানান , সরকারি ভাবে সার ও ঔষধ পাইনা কিন্তু বাহির থেকে ক্রয় করে নিতে হয় । আমি দাউদ নগর এলাকার কিছু জমি বর্গা চাষী করে চলাহয় পরিবার নিয়ে । বৃষ্টির কারণে আমন পাকাধান ও বোরোধানের বীজ তলা ও অনেক শাকসবজি , তরকারি ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে । একই সাথে শীতকালীন সকলের শাকসবজি , তরকারি , আমন পাকাধান, বোরোধানে বীজ ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ।