চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হকসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনে শিকার হাজী দুলাল আহমেদ দুলনের স্ত্রী নবীউন নাহার মৌসুমী।
মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজমুল হক, ওসি (তদন্ত) মোঃ আলী আশরাফ, এসআই শহিদুল ইসলাম, এসআই বাতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর রাত ১টা ৩০ মিনিটে ওসি নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুলনের বাড়িতে হানা দেয়।
এসময় দুলনকে আটক করে এবং তার ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের সময় পুলিশের সাথে কোন ধস্তাধস্তারি ঘটনা ঘটেনি।
পরে দুলনকে থানায় নিয়ে পুলিশ নির্মম ভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আহত অবস্থায় তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চা পাতা ও টায়ারসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ মালামাল চুনারুঘাটে প্রবেশ করে।
যা চুনারুঘাট থানার ওসি নাজমুল হকের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে আসে। মালামালগুলো চুনারুঘাটে এসে পৌছামাত্রই দুলনসহ এলাকাবাসি বিষয়টি বিজিবিকে অবগত করে।
পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল আটক করে। এর পর থেকেই ওসিসহ চোরাকারবারীরা দুলনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে।
এরই প্রেক্ষিতে দুলনকে আটক করে নির্যাতনের পর গরু চুরির মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এদিকে, দুলনকে গরু চুরির মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় ফুসে উঠেছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসি।
উল্লেখ্য দুলাল আহমেদ দুলন উপজেলার গুচাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মেসার্স আল হাসান এন্ড দিহান ট্রেডার্স-এর ব্যবসায়ী এবং আমরোড বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।