চুনারুঘাট উপজেলার লাতুরগাও গ্রামের দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই সহপাঠীর বিরুদ্ধে। তবে ওই যুবককে ধর্ষণের সময় ধরে ফেললে তার স্বজনরা ওই ছাত্রীর স্বজনদের পিটিয়ে আহত করে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেয়। এ ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ওই ছাত্রীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে জানায়, সে ও তালহা (১৮) একই গ্রামের বাসিন্দা ও আদমপুর গাউছিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল ওই সময় তালহা তাদের বাড়িতে এসে সুযোগ বুঝে কৌশলে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে যুবককে আটক করে। পরে স্থানীয় ১৫-২০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে তালহাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে। প্রতিবেশী ও স্বজনরা রাতেই ওই ছাত্রীকে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে আসে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় মামলা শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি ধামাচাপার জন্য মাতব্বরা মরিয়া হয়ে উঠে।
চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ বলেন, মামলা হয়েছে। নির্যাতিতা মাদরাসাছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।