নবীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়ভাকৈর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাস ও তার ভাই বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ পর্নোগ্রাফি মামলায় সুনামগঞ্জের জেলহাজতে।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে তোলাপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়,পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার ছোট ভাই নবীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়ভাকৈর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রঙ্গলাল দাসকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই আমলগ্রহণকারী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম ওই দুই আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। সাম্প্রতি নবীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সমর চন্দ্র দাসকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রঙ্গলাল দাস। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন মামলাটি দায়ের করেন দিরাই উপজেলার জনৈক এক আওয়ামীলীগ নেত্রী। আদালত সুত্রে জানাগেছে, দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের সাথে মামলার বাদী ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
এ ঘটনার পর ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর দুই ভাইকে আসামী করে পর্নোগ্রাপী নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই নারী।
পরবর্ততে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন মামলার দুই আসামী। জামিনের মেয়াদান্তে সোমবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
বাদীপক্ষের আইনজীবি মোঃ মাসুম আলম পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় দুই ভাইকে আদালত কর্তৃক জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।