২৬ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের।
“ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ”
মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী এবং এক ছেলে ও মেয়েকে রেখে মারা গেছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ০৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল আবদুল কাদেরকে। সেখানকার হাসপাতালে বিভিন্ন টেস্টের ফলাফলে ১৫ই ডিসেম্বর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাঁকে কেমোথেরাপিও দেওয়া যাচ্ছিল না। গত রোববার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন ২১ ডিসেম্বর তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
গত বৃহস্পতিবার কিছুটা ভালো ছিলেন আবদুল কাদের। করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে পরিবারের কেউ হাসপাতালে ছিলেন না। আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জানান, রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁরা হাসপাতালেই ছিলেন। পরে চিকিৎসকদের কথামতো তাঁরা বাসায় ফিরে যান। এক ঘণ্টা পর হাসপাতাল থেকে জরুরি ফোন পেয়ে তাঁরা সেখানে পৌঁছান। চিকিৎসকেরা জানান, কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, নড়াচড়া করছেন না। মাঝেমধ্যে হালকা নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা করোনা ইউনিট থেকে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করেছেন। সেখানেই আজ সকালে তিনি না–ফেরার দেশে চলে যান।