জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ও জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এএসপি পদে চাকুরী গ্রহনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নোয়াখালি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের নুরুল আমিন (৪৯) ও তার পিতা মমদু মিয়া (৭৭) এর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহের চৌধুরীর পুত্র নুরুল আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে ১৪ অক্টোবর হবিগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মমদু মিয়া ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি। তার পুত্র নুরুল আমিন আওয়ামী ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জ্বালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার পিতা মমদু মিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে জ্বাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে ২৮তম বিসিএস এ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ বাহিনীর এএসপি পদে চাকুরী গ্রহণ করেন। নুরুল আমিন পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী নিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে গত জুলাই ও আগষ্ট এর ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে নিষ্ঠুর ও বর্বরতম গণ হত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ডিবি প্রধান হারুনের ডান হাত হিসাবে ছাত্র জনতার গণহত্যার একজন অন্যতম পরিকল্পনাকারী। আন্দোলনকারী হত্যার অভিযোগে ঢাকার নিউ মার্কেট থানার জিআর ৯০/২৪ইং মামলার ৪২ নং আসামী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী গত ২৭ আগষ্ট হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে আবেদন করলে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। পরে দুদক থেকে পরামর্শ দেয়া হয় থানায় মামলা করার জন্য। সে অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর বানিয়াচং থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করায় গত ১৪ অক্টোবর নুরুল আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বিগত সরকারের সময় ১নং আসামী নুরুল আমিন প্রচন্ড প্রতাপশালী অবস্থানে থাকায় তাহার বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।