নাম তাহির মিয়া। বাহুবল উপজেলার বাসিন্দা হলেও জেলার সকল স্থানে রয়েছে তার পরিচিতি। জন্ম থেকেই দুটি পা নেই। দুটি হাতও অস্বাভাবিক। তবে মাথা, চোখ, নাক, মুখ অন্য দশজনের মতোই। শুধুমাত্র সৎ সাহস আর মনের জোর দিয়েই জয় করেছেন প্রতিবন্ধীতা। অস্বাভাবিক দুটি হাতের সাহায্যেই চলাফেরা করেন দিব্যি।
উপজেলা কিংবা জেলায় প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কোন সভা সেমিনারের খবর পেলেই হাজির হন তাহির মিয়া। সমাজ সচেতন এ মানুষটির ফেসবুকেও রয়েছে সরব উপস্থিতি। তাহির মিয়া জেলা প্রতিবন্ধি উন্নয়ন সংস্থার সাবেক সভাপতি ও বাহুবল উপজেলা প্রতিবন্ধি অধিকার ও সুরক্ষা আইন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি হবিগঞ্জের জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রতিবন্ধি অধিকার ও সুরক্ষা আইন কমিটির সভাপতি (পদাধিকার বলে) মাহমুদুল কবির মুরাদকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। বিদায় লগ্নে ভালবাসার স্বীকৃতি স্বরুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন থেকে জেলা প্রশাসককে দেয়া হচ্ছে বিদায় সংবর্ধনা। এ সুযোগটিও হাতছাড়া করেননি প্রতিবন্ধি তাহির মিয়া। সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি ক্রেষ্ট নিয়ে হাজির হন তাহির মিয়া। খবর পেয়ে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মাহমদুল কবির মুরাদ ২য় তলা থেকে নেমে তার ক্রেষ্টটি গ্রহণ করেন। প্রকৃত অর্থে এরই নাম অকৃত্রিম ভালবাসা। যে ভালবাসায় নেই কোন রং।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবন্ধি তাহির মিয়া জানান, জেলাবাসির আপনজন ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল করির মুরাদ। তিনি অনেক গুত্বপূর্ণ বিষয়ে রেখেছেন জোরালো ভূমিকা। বিশেষ করে পুরাতন খোয়াই নদী উদ্ধারের উদ্যোগটি ছিল সর্বমহলে প্রশংসিত। যে কারণে বিশাল মহৎ কাজের ক্ষুদ্র স্বীকৃতি স্বরুপ ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।