জুয়েল চৌধুরীঃ হবিগঞ্জ শহরবাসী টমটম চালকদের কাছে যেনো অসহায় হয়ে পড়েছেন। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে অন্যদিকে প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে একাধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা করা হচ্ছে। এ যেনো টমটম চালকদের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে।
হবিগঞ্জের গণপরিবহনখ্যাত টমটমে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। ভাড়া আদায়ের নামে রীতিমতো ডাকাতির মহোৎসব শুরু হয়েছে। তবে প্রতি টমটমে কতজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে তা নিয়েও ধোয়াশা যেন কাটছে না।
শহরের প্রতিটি রুটে প্রতি টমটমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালকসহ দুইজন বা তিনজন যাত্রী নিয়ে ১০ টাকা করে ভাড়া নেয়ার কথা বলা হলেও চালকরা কিছুতেই মানছেন না সেই নির্দেশনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চালকসহ ৬ যাত্রী নিয়ে শায়েস্তানগর বাজার থেকে চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ১৫ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে চালকরা। অথচ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উল্লেখিত সড়কের ভাড়া নেয়ার কথা ১০ টাকা।
এ তো গেলো সরাসরি বেশি দুরত্বের ভাড়ার হিসাব। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার কারণে স্বল্প দুরত্বে উঠানামা অর্থাৎ শায়েস্তানগর বাজার থেকে থানার মোড়, থানার মোড় থেকে মোদক ফার্মেসী, কিংবা চৌধুরী বাজার থেকে থানার মোড় পর্যন্তও এখন ভাড়া ১০ টাকা।
তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে প্রশাসনের নির্দেশনা, যাত্রী নিতে হবে দুইজন বা তিনজন করে। কিন্তু এমন নির্দেশনা কোনো চালকই মানছেন না। তারা যেনো প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে তাদের মতো করেই টমটম চালাচ্ছেন।
এতে করে গণপরিবহণ টমটমের ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে মাধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনসাধারণের উপর। একদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালত বন্ধ অপরদিকে যানবাহনে চলাচলে ডাবল ভাড়া দেয়ার বিষয়টি জনসাধারণের উপর যেনো ‘মরার উপর খরার গাঁ’ এ পরিণত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইশরান জাহান জানান, অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল বুধবার শহরের বিভিন্নস্থানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান চলবে।