জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

ঢাকা থেকে অপহরণ: হবিগঞ্জের আবাসিক হোটেলে উদ্ধার

ঢাকা থেকে অপহৃত এক ব্যক্তিকে হবিগঞ্জের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তিনদিন পর উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় মুক্তিপণের টাকাসহ দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈইলেন চাকমা

গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের সিনেমা হল রোড এলাকার আবাসিক হোটেল ‘পলাশ’ থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত ব্যক্তি ঢাকা তেজগাঁও ‘সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের’ ক্লিনার আলতাফ হোসেন (৩৮)।

আটককৃতরা হল- হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির (২৪) ও একই গ্রামের বাতিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া (২০)।

অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা তেজগাঁও ‘সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের’ ক্লিনার আলতাফ হোসেনের মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে ১ লাখ টাকা রয়েছে জানতে পেরে তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে পূর্ব পরিচিত শরবত বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম।

গত ৩১ আগস্ট আলতাফ হোসেনকে অপহরণ করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসে আটককৃত দুই অপহরণকারী। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর আলতাফ হোসেনের মোবাইল নাম্বার থেকে তার পরিবারের কাছে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ সময় আলতাফ হোসেনের স্ত্রী মোছা. রাশেদা বেগম বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে অবহিত করেন এবং ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এদিকে, অপহরণকারীরা মুক্তিপণের জন্য বারবার আলতাফ হোসেনের পরিবারকে ফোন করে এবং দ্রুত মুক্তিপণ না দিলে তাকে খুন করার হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে আলতার হোসেনের পরিবার ধার-কর্জ করে অপহরণকারীদের বিকাশ নাম্বারে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। কিন্তু এই ১০ হাজার পাওয়ার পর তারা আবারও ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কোন উপায় না পেয়ে আলতাফ হোসেনের পরিবারের লোকজন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করেন।

পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের আবাসিক হোটেল ‘পলাশ’ থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের ১০ হাজার টাকাও জব্দ করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে অপহৃতের জামাতা মো. তুহিন চৌধুরী বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানায় পুলিশ।

অপরদিকে, অপহরণ করে হোটেল ‘পলাশে’ রাখলেও কিছু জানে না বলে জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এমনকি তারা অপহরণকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন ধরণের কাগজপত্রও রাখে নাই। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে আবাসিক হোটেল ‘পলাশের’ ম্যানেজার নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘দুই অপহরণকারীসহ তিনজনই স্বাভাবিকভাবে হোটেলে প্রবেশ করেছে এবং রুম ভাড়া নিয়েছে। তবে যাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল সে কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল। তবে সাথে থাকা দুজন জানিয়েছে সে মানসিক রোগী।’