দুদিন আগেই বিসিবির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পাকিস্তান সফরে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। নিরাপত্তার করণে কোনো টেস্ট খেলবে না। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিসিবি। পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—তিন ফরম্যাটেই খেলবে বাংলাদেশ। অবশ্য তিন দফায় গিয়ে তিন সংস্করণে খেলবে তারা।
আজ মঙ্গলবার বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। দুবাইয়ে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর ও দুই দেশের বোর্ড সভাপতির উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৪-২৭ জানুয়ারি প্রথম দফায় তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর পর দ্বিতীয় দফায় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। পরে দুই মাস বিরতি দিয়ে এপ্রিলে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ। ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিকে আমরা আন্তরিকভাবে সম্মান করি, তারই উদাহরণ এটি। আমাদের অবস্থান অনুধাবন করার জন্য পিসিবিকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে। আমরা সন্তুষ্ট পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটা গ্রহণযোগ্যে সমাধান হয়েছে।’
অবশ্য এর আগে গত রোববার বিসিবির বার্ষিক সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনা করে অল্প কয়েকদিনের জন্য পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আপাতত টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় বাংলাদেশ। টেস্টের জন্য অন্য সময় যেতে চায় বলে জানালেন পাপন।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের এখনকার পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবেই অন্য সময়ের চেয়ে একটু আলাদা। সেই অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে, পাকিস্তান সফর যত সংক্ষিপ্ত করা যায়, সরকার তেমনই নির্দেশনা দিয়েছে আমাদের।’
তাই এই সফরে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা সফরের সম্ভাব্য সূচি সরকরকে পাঠিয়েছিলাম। তিনটি টি-টোয়েন্টি যতটা দ্রুত সম্ভব শেষ করে চলে আসতে। পরে পরিস্থিতি ভালো হলে টেস্ট ম্যাচ খেলা যেতে পারে। তাই আমরাও তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’