হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ দিন-রাতে একের পর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও থেমে নেই অপরাধীরা।
তারা তাদের মতো করেই বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা,গাঁজা ও জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়েই যাচ্ছে।
বানিয়াচং উপজেলা সদরের ভিতরে ৪টি ইউনিয়নে চলছে রমরমা মাদক ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড।
এক অনুসন্ধানে জানাযায়,বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের পুরান তোপখানা মহল্লার ডাকাতি মামলার জামীনে আসা আসামী ইয়াবা বিক্রি করে আসছে।
এবং তার সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ভাগ মহল্লার ও আজমিরীগঞ্জ শিবপাশার ৩/৪জন বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারকৃত অপরাধীরা।
একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে অবস্হিত একটি পুকুরের পাড়ে ছোট্ট ঘরের মধ্যে দিন রাত জুয়া পরিচালনা করে আসছে স্হানীয় এক ওয়ার্ড সদস্য জনপ্রতিনিধির আপন ভাই কামালখানী সাড়ং বাজারের দুই সুদ ব্যাবসায়ী মিলে বিভিন্ন স্হান থেকে জুয়াড়িদের এনে দিনভর জুয়া পরিচালনা করে আসছে।
২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নে এক ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির সহযোগীতা নিয়ে দুইজন ইয়াবা ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।
এমনকি ঐ জনপ্রতিনিধির বাড়িতে ২য় তলায় স্হান দিয়ে মজমাসহ ওদেরকে সবদিকে সহযোগীতা করার গুঞ্জনও রয়েছে এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নে ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে সকাল থেকে শুরু হয় জুয়া ও ইয়াবার ব্যাবসা।
জানাযায়,খোকন ভট্টাচার্য্যর ২টি পুকুর ওপরিত্যক্ত একটি বাড়ি লীজ নেয় একই ইউনিয়নের আনজব আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী(৪০)।
এই মোহাম্মদ আলীসহ ইনাথখানী মহল্লার একজন ও দেশমুখ্য পাড়ার সংখ্যা লোগো পরিবারের এক ছেলের নেতৃত্বে চলে এই জুয়া ও ইয়াবা নামক মাদকের ব্যাবসা।
এই এলাকার বাসিন্দাগন সংখ্যা লোগো হওয়ার কারনে তারা কেউ ভয়ে প্রতিবাদও করতে পারছেননা বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত জুয়াড়ি ও ইয়াবা সেবনকারীরা তাদের বাড়িতে মোটরসাইকেল রেখে নিজেদের মতো করে দাপটের সহিত করে যাচ্ছে এমন কর্মকান্ড।
একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পাড়াগাঁয়েও দুই,তিন চিহ্নিত জুয়াড়িরা প্রতিদিন জুয়ার আসর পরিচালনা করে যাচ্ছে।
৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের কালিকাপাড়ার ৫/৬নং বাজার সংলগ্ন পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে এক টমটম চালক দীর্ঘ ৮/১০বছর ধরে ইয়াবা নামক মাদকের ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে।
তাই সচেতন মহল হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারসহ বানিয়াচং থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)ও সকল গোয়েন্দা সংস্থার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাই করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য।
উল্লেখ্য গত ১৩আগষ্ট বানিয়াচং থানা পুলিশ পৃথক পৃথক দু’টি অভিযান পরিচালনা করে ৭কেজি গাঁজাসহ ৩মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও ৫জন জুয়াড়িকে নগদ টাকা খেলার সরঞ্জাম সহকারে গ্রেফতার করে।
পরদিন ১৪আগষ্ট দু’টি মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করে পুলিশ।
এসব মাদক,জুয়া,চুরি, ডাকাতি ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধ রোধকল্পে থানা পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত আছে বলেও থানা থেকে জানানো হয়।