জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

দুই থানায় ৩২ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত

গাজীপুরে সহকারী কমিশনারসহ (এসি) ৩২ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ২৫ জন এবং বাকি সাতজন হলেন জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ থানার।

জিএমপি কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, মহানগর পুলিশের গাছা থানার আরো ২০ জন সদস্যের দেহে নতুনভাবে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কয়েকদিন আগে এ থানার আরো পাঁচজনের করোনা পজেটিভ আসে।

আক্রান্তদের মধ্যে গাছা জোনের এসি, একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও পুলিশের নারী সদস্যরাও রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত তিন নারী সদস্য ছাড়া সবাই থানায় আইসোলেশনে আছেন।

গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, গত ১৩ এপ্রিল জিএমপির গাছা থানার এক এসআই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন।

এরপর বৃহস্পতিবার গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ও পুলিশের আরো দুই সদস্য এবং থানার এক কর্মীর (বাবুর্চি) দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত শনিবার ওই থানার আরো ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠায়।

সোমবার তাদের ২০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে গাছা থানার ২৫ জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। গাছা থানার আরো ৪২ জন পুলিশ ও কর্মীর নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ থানার সাতজনের করোনা সংক্রমণের তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পঙ্কজ দত্ত। ওই থানার আরো কয়েক সদস্যের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যাদের রিপোর্ট গতকাল সোমবার রাতেও আসেনি বলে জানান তিনি।

হবিগঞ্জে ১দিনে ১০ জন করোনা রোগী সনাক্ত

হবিগঞ্জে চিকিৎসক ও নার্সসহ নতুন করে মোট ১০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে হবিগঞ্জ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টায় নতুন ১০ জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সরা হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং বাকীরা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ এ. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের সকলকেই আইসোলেশনের আওতায় নিয়ে আসা সহ তাদের পরিবার লকডাউন ঘোষণা করা হবে।

হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ নির্দেশে প্রত্যেক উপজেলা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়। ওইসব নমুনা থেকেই দশজনের পরীক্ষা রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। এখন আক্রান্তদেরকে শীঘ্রই হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া ইতোপূর্বে পাঠানো নমুনা থেকে ৩৬ জনের রিপোর্ট এসেছে যার সবগুলোই নেগেটিভ।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান  বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সকলের পরিবার লকডাউন করা হবে। এছাড়া যারা হাসপাতালে ছিলেন না, তাদেরকে শীঘ্রই আইসোলেশনে নিয়ে আসা হবে।

হবিগঞ্জে করোনা সনাক্ত হওয়া নতুন এই ১০ জনের মধ্যে লাখাই উপজেলায় – ৩, বানিয়াচং উপজেলায় – ৩, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় – ২, বাহুবল উপজেলায় – ১ ও চুনারুঘাট উপজেলায় – ১ জন।

এদের মধ্যে ডাক্তার/ নার্স ৩ জন হলেনঃ

১। ডা.সৈয়দ আদনান আরেফিন,
২। নার্স- নাজমিন নাহার ও
৩। নারায়ণগঞ্জ ফেরত বাবুল মিয়া লাখাই।

বানিয়াচংয়ের করোনা সনাক্ত ৩ জন হলেনঃ

০১। সুমন মিয়া,
পিতা- রহমত উল্লা,
বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়া,
৩ নং দক্ষিণ পূর্ব ইউপি।

০২। আক্কাস মিয়া, পিতা- আব্দুস শহীদ,
মহব্বতখানি, ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউপি।

০৩। উজ্জল মিয়া,
পিতা-আলী আহমেদ,
মীরমহল্লা, ১নং উত্তর পূর্ব ইউপি।

আজমিরীগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ২ জন হলেনঃ

১। বদলপুরের সারথি রানী।
২। বিরাট মির্জাপুরের জালাল উদ্দিন।

বাহুবলে আক্রান্ত ১ জন হলেনঃ

নামঃ- অলি মিয়া
গ্রামঃ- দৌলতপুর

এবং চুনারুঘাটে আক্রান্ত ১ জন হলেনঃ
আব্দুল মালেক (৬৪)
গ্রাম: উত্তর গোগাউড়া।

সূত্র : ডেপুটি সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ ।