জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

নবীগঞ্জের দু-দলের সংঘর্ষে আহত ২০

নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ রাখার প্রতিবাদে গুমগুমিয়া গ্রামের কিছু যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্হানীয় একটি মন্দিরের সামনে দিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মন্দিরের যুকদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে মিছিলকারীরাদের সাথে মন্দিরের যুকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জসহ উভয় পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৪ জনকে সিলেট ওসমাণী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমদকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তাৎক্ষণিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য শাহ নওয়াজ মিলাদ গাজী, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মুরাদ আলী, নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান শেফু প্রমুখ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, একদল যুবক ও কিশোর কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পাঞ্জারাই বাজার থেকে গুমগুমিয়া বাজার হয়ে গ্রামের পথ হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি স্হানীয় একটি মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একদল যুবক ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন বাজে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়া লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ১ ঘণ্টাব্যাপী ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন লোক আহত হন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন,ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সংসদ সদস্য শাহনোওয়াজ মিলাদ গাজী বলেন, একটি বিচ্ছিন্ন ঘৃণিত ঘটনায় আমরা লজ্জিত। কিছু অপশক্তি একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে তেমন গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে উনি নিজে আহত হয়েছেন, আরও পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে যেনো এ-ধরনের ন্যূনতম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও না ঘটে সেজন্য স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিজ্ঞাবদ্য হয়েছেন, তারা নিজ দায়িত্বে পূজার নির্বিঘ্নতা রক্ষা করবেন।