নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারের টিসিবির ১৯৬ বোতল সয়াবিন তেল ও ৭৩ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয় ৫ জনকে।
জানা যায়, ইনাতগঞ্জের ব্যবসায়ী স্থানীয় লালাপুর গ্রামের হাজী হেলিম উদ্দিনের পুত্র নোমান হোসেন অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা কালো বাজারে বিক্রি করছেন।
এমন খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন একটি অভিযান চালান।
গতকাল বৃ্হস্পতিবার রাতে প্রায় ৫ ঘন্টা ব্যাপী যৌথভাবে কয়েকটি গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ টিসিবির সোয়াবিন তৈল চিনিসহ পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। শুধু টিসিবি পণ্যই নয়। তার দোকান ঘর থেকে অবৈধ ভারতীয় সিগারেটও উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে যারা অংশ নেন ; নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার চৌধুরীসহ দুই থানার পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় কয়েক শতাধিক ভূক্তভোগী জনসাধারন প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইনাতগঞ্জ বাজারে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী নোমান হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ইনাতগঞ্জ বাজারের সীমান্ত জগন্নাথপুর উপজেলার আলীগঞ্জ বাজার গুদাম থেকে উদ্ধারকৃত পণ্য সামগ্রী হচ্ছে, টিসিবির ৭৩ বস্তা চিনি, ১৯৬ পিস সোয়াবিন তেল, চিনি পরিবর্তন করা ৬ বস্তা, টিসিবি চিনির খালি বস্তা ৯টি।
ইনাতগঞ্জ বাজারের ভিতরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গুদাম থেকে জব্দ করা হয়- টিসিবির ৫লিটার সোয়াবিন তেল, টিসিবি, লেভেল ছাড়া চিনির খালি কার্টুন ৩টি, লেভেল ছাড়া ৫ লিটার সোয়াবিন তেল।
এ সময় ব্যবসায়ী নোমান হোসেন এর ভাইসহ ৫ জনকে আটক করে প্রশাসন। পরে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ আটককৃতদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ।
অভিযান এর খবর পেয়ে নোমান হোসেন পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো, নোমানের ছোট ভাই আমান হোসেন (৩০), ৪ কর্মচারী হলো- জগন্নাথপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের নিতেশ রায়ের পুত্র লিংকন রায়(৩০), নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের তপথিবাগ গ্রামের ছমেদ মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া(৪০), একই গ্রামের শফিক উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কালাম, বটপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিনের পুত্র আবুল কালাম (৪২)।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, আমাদের কাছে খবর আসে ব্যবসায়ী নোমান হোসেন খোলা বাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছেন ।
জগন্নাথপুর থানায় তার একটি গুদাম ঘর থাকায় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ টিসিবি পণ্য উদ্ধার করা হয় ।
জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ উভয় থানায়ই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।