শাহরিয়ার আহমেদ শাওনঃ নবীগঞ্জে পাহাড়ী উজান থেকে নেমে আসা পানি বন্যার সৃষ্টি ঘটে । এতে করে ঘর বাড়ী নদীনালা রাস্তা ঘাট মাঠ ডুবে যায়। এতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গরু কে ঠিক ঠাক মতো লালন পালন করতে বেঘাত ঘটে। যার কারনে গরু হাল্কা ও রোগা আকৃতির ওজন কমছে।
চলমান বন্যায় মৌসমী পশু খামারীরা ও প্রান্তিক কৃষক পড়েছেন ক্ষতির মুখে। এর মধ্যে অনেকে ধার করে আনা টাকা ব্যং থেকে ক্ষ্রদ্র রিন এনে গরু কিনে লালন পালন করছিলেন। ভেবে ছিলেন আসন্ন কোরবানী ঈদে পশু বিক্রি করে দেনা পাওনা পরিশোধ করবেন। কিন্ত ভয়াবহ দুর্যোগ বন্যার কবলে পড়ে দিশেহারা অনেক মানুষ। রিনের চিন্তা মাথায় নিয়ে এখন চিন্তত কৃষক খামারীরা।
জানাযায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জ হাওর অঞ্চল গুলোতে ব্যপক ভাবে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পশু খামাড়ীরা ব্রীজের উপর রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে একটু শুকানো জায়গায় গরু রাখছেন।
মাঠ ঘাট ডুবে যাওয়ায় গরুর খাদ্য সংঘটও দেখা দেয়। এমতা অবস্থায় সামনে কোরবানী ঈদ সামনে রেখে দুশচিন্তা কাটছে না কৃষক ও খামারীদের।
শেরপুর গ্রামের আনিজ মিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কোরবানী ঈদে বিক্রি করার জন্য গতবছর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে গরু কিনে ছিলাম। কিন্ত এবারের বন্যায় ভিটে বাড়ী সব পানির নিচে, গরু ছাগল নিয়ে এখন রাস্তার পাশে দিন কাটাতে হচ্ছে।
মাসুক মিয়া নামের আরেক খামারী জানান, বন্যার কারনে মানুষ থাকারই জায়গা পাইনি গরু ছাগল নিয়ে পড়েছি বিপাকে। মাঠ ঘাটে পানি, কোনও ধরনের কড় ঘাস নেই, গরুর খাদ্য সংকটের জন্য ওজন কমছে।