এম এ আলাল
শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। বর্তমানে শীতের জনপ্রিয় পিঠা ভাপা পিঠা।
শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তার ধারে সব ধরনের পিঠা বানানোর আয়োজন শুরু করে দেন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা।
ছোট্ট ভ্যান গাড়িতে থাকে নানা ধরনের সরঞ্জাম। ছোট্ট চুলায় মাটির পাতিলে পানি ভরে মুখ লেপে ছোট করে তার ওপর পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে বসে পড়েন পিঠার কারিগর। পাতলা কাপড়ে মুড়ে পাতিলের ওপর বসিয়ে আগুনের তাপে পানির বাষ্প উঠে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। এভাবেই নবীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালিন পিঠার দোকান।
আবার শীতের পিঠা বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করছেন অনেকে। নবীগঞ্জ নতুনবাজার ট্রাফিক পয়েন্টে প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেন বিসুরী বেগম। স্বামী হারা বিসুরী বেগমের দুই মেয়ে কে নিয়ে চলছে তার সংসার। সংসারের অভাব দূর করতে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা বিক্রি করে দৈনিক ২৫০-২৮০ টাকা আয় করেন।
বছরের অর্ধেক সময় বাসা বাড়িতে কাজ করার পর শীতকালে বিক্রি করেন পিঠা। বিসুরী বেগমের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছিলেন মোঃ রুবেল মিয়া নামের একজন।তিনি বলেন, আগের মতো বাড়িতে এখন আর পিঠা বানানোর আয়োজন হয় না, তাই পাওয়া যায় না আগের মতো পিঠার স্বাদ। রাস্তায় দাঁড়িয়েই খেতে হয় পিঠা।