নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও ও সাকোয়া গ্রামবাসীর মধ্যে ছোট বাচ্চাদের মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সাম্প্রতায়িক সংঘর্ষ বেঁধেছ যায় এতে
২ ঘন্টাব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলা সহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় হামলায় প্রায় ৮/১০টি বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়।
আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ইনচার্জ ডালিম আহমেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন
পরে থানায় খবর দিয়ে আরো অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ২ ঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল এর সার্কেল এসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে আসেন।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, সাকোয়া ও করগাঁও গ্রামে মধ্যবর্তী স্থানে আমন ক্ষেতে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাকোয়া গ্রামের পুত্র বেনু মিয়ার পুত্র সমির ও করগাঁও গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র টুটুল গউস মিয়ার ফিসারীর পাশে একটি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র দুই বাচ্চার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এসময় করগাঁও গ্রামের জনৈক মুরুব্বী দুই বাচ্চার ঝগড়া মিমাংসা করতে গিয়ে সাকোয়া গ্রামের শিশুকে তাপ্পর মারেন। এ খবর সাকোয়া গ্রামের লোকজনের কাছে পৌছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সাকোয়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে করগাঁও গ্রামবাসীর উপর হামলা করে। হামলার খবর করগাঁও গ্রামবাসী মজসিদের মাইকে ঘোষনা দিলে করগাঁও গ্রামবাসীর সাথে গুমগুমিয়ার গ্রামের লোকজনসহ একসাথে ঝড়ো করে পাল্টা হামলা চালায়। এতে মৎস সম্প্রদায় আর বাঙ্গাল সম্প্রদায়ের দুইটি পক্ষ হয়ে যায়।
২ ঘন্টাব্যাপি এই সংঘর্ষে শিশু বাচ্চা মহিলা সহ দুই গ্রামের প্রায় অর্ধশধাতিকলোক আহত হয়েছেন। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমদ জানান পুলিশ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছে।অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয় গ্রামবাসীর সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে পুলিশ বর্তমান আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।