হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের কর্মসূচি ছিলো সকাল থেকে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসাবে এই সভার ডাক দিয়েছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যার ফলে সকাল ১১ ঘটিকা থেকে সাকিব গ্রুপ হবিগঞ্জ শহরের সাইফুর রহমান টাউন হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে জড়ো হয়।
অপর দিকে মাহদি গ্রুপ সকাল থেকে হবিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে জড়ো হয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দুপুর ১.০০ টার দিকে বহিরাগতরা আক্রমণ করে মাহদি গ্রুপের শিক্ষার্থীদের উপর। এইসময় অডিটোরিয়ামের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
পরবর্তীতে আক্রমণকারীরা শিক্ষার্থীদের দাওয়া খেয়ে পালাতে সক্ষম হয়।
কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ২ ঘটিকার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, হাসিব আল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু সালেহ নাসিম এবং জান্নাত উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পৌছায় ফলে তারা সামগ্রিক চিন্তা ভাবনা করে মতবিনিময় সভা হবিগঞ্জ পৌর মাঠে বেলা আড়াইটায় নির্ধারিত করে।
বেলা আড়াউটা অতিক্রম করে বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ পৌর মাঠে সকল জল্পনা কল্পনা শেষে ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হবিগঞ্জের সকল উপজেলার ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই সফর বলে উল্লেখিত করেছেন।
এবিষয়ে হবিগঞ্জের আন্দোলনকারী এনামুল হক সাকিব বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম থেকেই আন্দোলন সংগ্রামে থেকে রাজপথে লড়াই করেছি। আমাদেরকে বাদ দিয়ে উপজেলা পরিষদে মতবিনিময় সভা করা সমীচীন নয়। শেখ হাসিনার দোসরদের একটি পক্ষ মতবিনিময় সভা বাঞ্চালের চেষ্টা করেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জের অপর আন্দোলনকারী মাহদী হাসান জানান, সভাস্থলে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে তিনি এবং অপর সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম সুজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা হবিগঞ্জে সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।