হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগে নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। এ সময় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৮ মে তার বিরুদ্ধে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগে ট্যাগ অফিসার জগদীশ দাশ তালুকদার বাদী হয়েছ মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক ছিলেন মুখলিছ মিয়।
সূত্রে জানা যায়, নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গত ৮ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করার জন্য সেখানে দেওয়া ২ হাজার কেজি চালের মধ্যে পাওয়া যায় ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল। যেহেতু ৩০০ কেজি চাল পাওয়া যায়নি, তাই ওই ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করেন তিনি। এছাড়াও সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বিতরণেও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। জানুয়ারি থেকে চাল বিতরণের কোনো মাস্টার রোলও সেখানে ছিল না।
পরে গত ১২ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।