স্টাফ রির্পোটার: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া সায়হাম নীট কম্পোজিট লিমিটেডে যুবক-যুবতিদের চাকুরী দেওয়ার নামে কোম্পানির পি এম ও এলাকার দালাল চক্র সহযোগীতায় বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অর্থ আদায় সহ যুবতীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নোয়াপাড়া সায়হাম নীট কম্পোজিট লিমিটেড এর নাম দিয়ে এলাকার কিছু দালাল চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। কোম্পানির সামনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিচ্ছে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পেটের দায়ে বেকার যুবক-যুবতী আবেদন দিতে আসলে ঘুষ বাণিজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান টাকা।
কোম্পানি এলাকার বেঙ্গেডোবা গ্রামের মৃত মস্তব আলীর ছেলে আব্দুর রউফ (৪৫) দালাল চক্র ও কোম্পানির পি এম সাইদুল (৫৫) যোগসাজসে বিপুল পরিমাণ ঘুষ বাণিজ্যর বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করার কেউ নেই।
উল্লেখ্য নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের লিপি আক্তার (২২) নামে এক যুবতী জানান যে, তিনি সায়হাম নীট কম্পোজিট প্রাইভেট লিমিটেডে চাকুরী পাওয়ার জন্য এলাকার দালাল চক্র আব্দুর রউফকে ৪ হাজার টাকা দেয়। আব্দুর রউফ উক্ত টাকা কোম্পানির পিএম সাইদুলের হাতে পৌছে দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত লিপি আক্তারের চাকুরী হয়নি।
উক্ত টাকা গত ৪ নভেম্বর কোম্পানির পিএম সাইদুলের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে গেলে লিপি আক্তারকে মারধর করে।
স্থানীয় বিচারকদেরকে এ বিষয়ে অবগত করলেও এখনো সুষ্ঠ বিচার পায়নি লিপি আক্তার, এবং তার দেয়া ৪ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়নি। সাইদুলের বাড়ী একই উপজেলার হরষপুর গ্রামে।
সূত্রে আরো জানাযায় বানিয়াচং উপজেলার লাল মিয়ার কন্যা শিউলী আক্তার (২১), মাধবপুর উপজেলার রফিক মিয়ার কন্যা ফাহিমা আক্তার (২৮), সবুর হোসেনের পুত্র আব্দুল হাসিম(২৩) ও চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের মোঃ ইউসুফ উল্লাহর পুত্র তাহির মিয়া (২৮) কে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে কোম্পানিতে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে এসব দালাল চক্র সুযোগে ফেলে যুবতীদেরকে নিয়ে কোম্পানির বাহিরে যৌন হয়রানি করে। কখনো হোটেল কখনো বা বাড়াটিয়া ঘরে। লজ্জ্বায় মুখ খুলছেনা কেউ।
এসব প্রতারকরা কোম্পানীর সামনে, কম্পিউটারের দোখানে কিংবা হোটেল বা চার দোকানে ছদ্দবেশে বসে থাকে। সুযোগে হাতিয়ে নেয় টাকা-পয়সা। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী নজর দিলে প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাবে অসহায় হাজারো নারী-পুরুষ বলে জানায় এলাকা বাসী।