জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেপ্টেম্বর মাসে শততম স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্পন্ন

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১ মাসে (সেপ্টেম্বর) ১০০টি স্বাভাবিক ও নিরাপদ ডেলিভারী সম্পন্ন করেছেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নুরজাহান বেগম। যেটা সিলেট বিভাগের মধ্যে অন্যতম অর্জন।

ইতিমধ্যে তিনি পর পর ৭বার সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাসিক মিটিং এ তাকে জেলার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাবেক উপপরিচালক ডাঃ নাসিমা খানম ইভা, সহাকরী পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান, ডিসট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আব্দুর রব মোল্লা, মা মানি প্রকল্পের ম্যানেজার এমআইএস শাকিল আহমেদ খান প্রমুখ।

উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী তুলনামূলকভাবে বর্তমানে অনেক ভাল, যাহা আজ থেকে ১০বছর আগেও ছিলনা।

পইল-ইউনিয়ন-স্বাস্থ্য-কেন্দ্রে-সেপ্টেম্বর-মাসে-শততম-স্বাভাবিক-ডেলিভারি-সম্পন্ন
করোনাকালীন সময়েও জীবনের ঝুকি নিয়ে সেবা চলমান রেখেছেন নুরজাহান বেগম।

একটা সময় হবিগঞ্জে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশী ছিল, কিন্তু এখন প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এই জন্য আমি আমার মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মীদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

ডিসট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আব্দুর রব মোল্লা বলেন, নুরজাহান বেগমের আন্তরিকতার ফলে এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি এবং আমাদের অবস্থান থেকে সব সময় সহযোগীতা প্রদান করেছি।

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নুরজাহান বেগম বলেন, আমি চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার ইউনিয়নের মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে এনে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বৃদ্ধি করা।

শুরুতে আমার এই সেন্টারে ১০ থেকে ১২ টি ডেলিভারী হতো, ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেয়ে আজ আমি শততম সম্পন্ন করতে পেরেছি।