হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেছেন, “১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।”
“খুনিরা এ হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে জঘন্যতম বর্বরতা, নির্মমতা, পৈশাচিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা সুপরিকল্পিত। এটি ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ওপর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির প্রতিশোধমূলক সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। জেলা শহরের শিরিষতলা প্রাঙ্গণে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এমপি আবু জাহির আরও বলেন, “পাকিস্তান পন্থীরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কোন সদস্য বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করে।”
“সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই সন্তান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকায় দেশ আজ মাথা উুঁচ করে দাঁড়িয়েছে। ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রজন্ম এখন উন্নয়নের ধারাকেও ব্যহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদেরকে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি মানুষ তথা দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ মোত্তালিব ও সঞ্চালনায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মুকিত।
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সহ সভাপতি আক্রাম আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আদিল জজ মিয়া।
বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. সফর আলী, আব্দুল আউয়াল তালুকদার, নুরুজ্জামান চৌধুরী, লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আব্বাস, গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো, জবেদ আলী মাস্টার, ফরিদ আহমেদ, সাহেব আলী, জালাল আহমেদ, মীর হোসেন, আহম্মদ আলী, মহিউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ প্রমুখ।