০১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ কোটি ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ঋণের মধ্যে শুধু পরিচালকদের কাছে অন্য ব্যাংকের ০১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও নিজ ব্যাংকের ০১ হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে।
গত বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এ তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল।
পরিচালকদের কাছে অন্য ব্যাংকগুলোর যে ঋণ আছে, তা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। আর নিজ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে তা মোট বিতরণ করা ঋণের শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ।
দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে কেবল রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে কোনো পরিচালক ঋণ নেননি। বাকিগুলোর মধ্যে শুধু ২৫টি ব্যাংকের পরিচালক নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, নিজ ব্যাংক থেকে সব থেকে বেশি ঋণ নিয়েছেন এবি ব্যাংকের পরিচালকরা। তাদের ঋণের স্থিতি ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এরপরের অবস্থান ব্র্যাক ব্যাংকের। এখান থেকে নিজ পরিচালকদের ঋণ ৩৬২ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম বাংকের পরিচালকদের কাছে নিজ ব্যাংকের কোনো পাওনা নেই। কিন্তু অন্য ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের কাছে পাওনার দিন থেকে এই দুটি ব্যাংক শীর্ষে আছে।
এর মধ্যে অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের ইসলামী ব্যাংকের পাওনা ১৯ হাজার ১৭৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও এক্সিম ব্যাংকের পাওনা ১০ হাজার ৫১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে পাবে ১০ হাজার ১২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা, পূবালী ব্যাংক অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ০৯ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পাওনা আছে।
সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
মোট খেলাপি ৮ হাজার ২৩৮টি কোম্পানির মধ্যে চার হাজার ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন অর্থ আদায় হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৯–২০২০ অর্থবছরে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৯ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়েই সরকার তার চেয়ে বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছে (৪৮ হাজার ৫৮৩ কোটি ১১ লাখ টাকা)।
ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮–২০১৯ অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিটেন্স ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।